টাইগার ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গেছেন সেমি-ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু মাঠে ঠিক মেলে ধরতে পারছেন না মুশফিক-লিটনরা। যে কারণে সুপার টুয়েলভে জয়ও ধরা দিচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার পর ইংল্যান্ডের কাছেও হার মানায় শেষ চারের স্বপ্ন এখন ফিকে।
যে কারণে সমালোচনা হচ্ছে দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে। কিন্তু সেটা নিতে পারছেন না খেলোয়াড়রা। যার প্রভাব পড়ছে মাঠের লড়াইয়ে। বাড়তি চাপ থেকে বাঁচতে ইংলিশদের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে টিম ম্যানেজমেন্ট পাঠিয়ে দেয় বোলার নাসুম আহমেদকে। আর তারকা এ স্পিনার তো বলেই দিলেন। চেষ্টা করেও তাদের দ্বারা হচ্ছে না।
মাশরাফি ক্রিকেটারদের অভয় দিয়ে জানালেন, মাঠে থাকলে সমালোচনা হবে। আর সমালোচনা হজম করাও একটা শিল্প। এই শিল্পটা যে যত রপ্ত করতে পারবে সে তত ভালো থাকবে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাশরাফি লিখেন, ‘সমালোচনা জীবনের একটা অংশ, এটা সহ্য করাও একটা আর্ট। যে যতো সমালোচনা নিতে পারে সে ততো ভালো থাকে। ঠিক এই মুহূর্তে তোমাদের সমালোচনা সবাই করবে এমনকি আমিও। তাতে তোমাদের কিছু যায়-আসার কথা নয়।’
সমালোচনায় গা না ভাসিয়ে সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের পরের ম্যাচের পরিকল্পনায় ব্যস্ত থাকার টিপস দিলেন মাশরাফি। ভাবতে বললেন নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়া নিয়ে, ‘শুধু তোমাদের চিন্তা করা উচিত তোমরা কি করতে চেয়েছিলে আর তা কেন করতে পারনি। পরের ম্যাচে যেন সেরাটা দিতে পার সেই চিন্তা করা শুরু করো। কারণ পরের ম্যাচটাও তোমরা বাংলাদেশের জন্যই খেলবে আর দেশের সবাই আবার নতুন কোনো আশা নিয়ে খেলা দেখতে বসবে।’
পারফরম্যান্সটা ভালো হচ্ছে না টাইগারদের। সে কারণে বিসিবি প্রধান থেকে সাবেক ক্রিকেটার ও ভক্তরা সমালোচনা করে যাচ্ছেন ক্রিকেটারদের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসদের সমালোচনার বানে ভাসানোর কারণ সবাই তাদেরকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। মাশরাফি অন্তত তেমনটাই মনে করেন, ‘কেউ গঠনমূলক সমালোচনা অথবা আরও বেশি নেতিবাচক কথা বলবে। তোমাদের ভালোবাসে বলেই এতো কথা বলে। নেক্সট ম্যাচেই সেরাটা দিয়ে জিতে আসলে দেখবা সবাই আনন্দে পিছনের জিনিস ভুলে যাবে। একমাত্র ইতিবাচক মানসিকতাই সেরাটা বের করে আনতে পারবে আমার বিশ্বাস।’
খেলায় ফিরতে হলে খারাপ সময়টা ভুলে যেতে হয়। তবে বাজে দিনের শিক্ষাটা মনে রাখাটা উচিত। পরামর্শটা দিয়ে মাশরাফি জানিয়ে দিলেন প্রিয় টাইগার ক্রিকেটারদের পাশে সব সময় আছেন এবং থাকবেন, ‘মাঠে যা কিছুই ঘটুক না কেন তোমাদের পাশেই আছি। মনপ্রাণ দিয়েই থাকবো। সবাই বিশ্বাস করে তোমরাই আনন্দের উপলক্ষ। বাজে দিনকে ভুলে যাওয়াই উত্তম। তবে বাজে দিন যে শিক্ষা দিয়ে যাবে তা মনে রাখা আরও উত্তম। গুড লাক বাংলাদেশ ক্রিকেট। আল্লাহ ভরসা।’