ব্যাটিংয়ে অনেকটাই উন্নতি করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটা অবশ্য বিশ্বকাপের মূল পর্বে ইংল্যান্ড ম্যাচ তুলনায়। ইংলিশদের কাছে ৫৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া ক্যারিবিয়ানরা এভিন লুইসের ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে গড়ল ১৪৩ রানের পুঁজি। কিন্তু লাভ হলো না। আইডেন মার্করামের ফিফটিতে প্রোটিয়ারা তাদের উড়িয়ে দিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। দুরন্ত জয়টা আসে ১০ বল হাতে রেখেই।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেল দ্বিতীয় ম্যাচে এসে। এবং সেটা দাপটের সঙ্গে। আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ মূল পর্বে হারল টানা দুই ম্যাচ।
জয়ের জন্য ১৪৪ রানের লক্ষ্যটা ক্যাপ্টেন টেম্বা বাভুমার দল ছুঁয়ে ফেলল ১৮.২ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। তবে তাদের শুরুটা ছিল খুবই বাজে। দলীয় ৪ রানে বিদায় দেন অধিনায়ক বাভুমা (২)। তবে তার ওপেনিং পার্টনার রিজা হেনড্রিকস ব্যাটিং লড়াইটা চালিয়ে যান। দলীয় ৬১ রানে ৩৯ করে ফিরে যান তিনি। তবে ফেরার আগে দ্বিতীয় উইকেটে ডার ডুসেনের সঙ্গে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন হেনড্রিকস।
পরে আর পিছনে তাকাতে হয়নি প্রোটিয়াদের। তৃতীয় উইকেটে রসি ফন ডার ডুসেন ও আইডেন মার্করামের ৮৩* রানের হার না মানা দুরন্ত জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফ্রিকানরা।
মার্করাম ২৬ বলে ৫১* রানের ইনিংসটি সাজান ২ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায়। আর ৫১ বলে তিন চারে ৪৩* করেন ডার ডুসেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একটি উইকেট নেন কেবল আকিল হোসেন।
তার আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লেন্ডল সিমন্স-এভিন লুইস উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে নেন ৭৩ রান। সিমন্স ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে ১৬ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরলেও লুইস থেকে যান মারকুটে।
সিমন্স ৩৫ বলে তিন বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় ৫৬ রানের দুরন্ত এক ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরলে ফের বিপদে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। ১৩.২ ওভারে দলীয় স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৮৯। তার সঙ্গে দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান।
সিমন্সের বিদায়ের আগে ও পরে সমান ১২ রান করে সংগ্রহ করেন নিকোলাস পুরান ও ক্রিস গেইল। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই ডিজিটে পৌঁছান ক্যাপ্টেন কাইরন পোলার্ড। তবে তিনি ২৬ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি দলীয় স্কোরে। বাকি ব্যাটসম্যানরা থেকে যান সিঙ্গেল ডিজিটে। যে কারণে পুঁজিটাও খুব বেশি বড় হয়নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস উইকেট শিকার করেন তিনটি। দুটি উইকেট নেন কেশব মহারাজ। আর একটি করে উইকেট নেন ক্যাগিসো রাবাদা ও ম্যাচসেরা আনরিচ নর্টজে।