প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে অঘটনের শিকার হয়েছিল ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। সেই হারের কষ্টটা ভুলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের ছেলেরা। ছিনিয়ে নিয়েছে দাপুটে এক জয়। ২৬ রানে হারিয়ে দিয়েছে ওমানকে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। দুর্দান্ত এ জয়ে সুপার টুয়েলভে উঠার লড়াইয়ে টিকে রইল টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে একাদশের বাইরে রেখে কম কথা শুনতে হয়নি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে। হাতের ব্যাট হাসিয়ে তাদের ভুলটা ঠিকই প্রমাণ করলেন এ ওপেনার। হাঁকালেন দাপুটে এক ফিফটি। সঙ্গে কথা বলল সাকিব আল হাসানের ব্যাটও। পরে বল হাতেও জ্বলে উঠলেন সাকিব। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে হলেন ম্যাচসেরা। তার সঙ্গে আগুনে বোলিংয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালান মুস্তাফিজুর রহমান। তাতেই ধরা দিল বহুল কাঙ্ক্ষিত জয়।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক ওমান। যতীন্দার সিং ৪০, ক্যাশাপ প্রজাপতি ২১, মোহাম্মদ নাদিম ১৪* ও জিশান মাকসুদ ১২ রান করেন।
মুস্তাফিজ ৩৬ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেট। আর সাকিব তিন উইকেট নিয়ে দেন ২৮ রান।
তার আগে নাঈম ও সাকিবের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ওমানের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ গড়ল ১৫৩ রানের লড়াকু পুঁজি।
তবে শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ১১ রানে ফিরে যান লিটন দাস। দলের স্কোরে আরও ১০ রান যোগ হতে পড়ে যায় মেহেদী হাসানের উইকেট। টাইগাররা তখন বিপদের শঙ্কায়।
তবে দলের বিপদ কেটে যায় তৃতীয় উইকেটে নাঈম শেখ ও সাকিব আল হাসানের ৮০ রানের পার্টনারশিপে। দলীয় ১০১ রানে থামে দুজনের দাপুটে জুটি। ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ২৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪২ রান এনে দেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
সাকিব ফিরে গেলে ব্যাটিং লড়াইটা একাই চালিয়ে যান নাঈম শেখ। দলীয় ১২২ রানে থামে তার ইনিংস। ৫০ বলে তিন বাউন্ডারি ও চার ছক্কায় ৬৪ রানের দুরন্ত এক ইনিংস। কিন্তু ক্রিজের অন্য প্রান্তে মড়ক লাগে।
বাকি ব্যাটসম্যানদের এলোমেলো ব্যাটিংয়ের মাঝে ১৭ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাকি ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেওয়ায় দুই অঙ্কও আর কেউ স্পর্শ করতে পারেননি। ফলে দলীয় স্কোর আরও বড় হওয়ার আভাস দিলেও তা আর হয়নি।
ওমানের হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন বিলাল খান ও ফায়াজ বাট। আর কলিমুল্লাহ নেন দুই উইকেট।