মাঠের লড়াইয়ে হার-জিত থাকবেই। যেখানে হারটাও স্বাভাবিক একটা বিষয়। আর লড়াইটা যদি হয় টি-টোয়েন্টিতে তাহলে সেখানে ফেভারিট তকমাটা ধরে রাখাটা বড়ই মুশকিল।
তারপরও স্কটল্যান্ডের মতো পুঁচকে দলের কাছে টাইগারদের মতো শক্তিশালী দলের পরাজয়টা শুধুই অঘটন নয়, তা একই সঙ্গে বড্ড বেমানান। এই হারের কষ্টটা হয়তো পরের দুই ম্যাচে পুষিয়ে নেবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে টাইগাররা ঠিকই পৌঁছে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে মানে মূল পর্বে।
ক্রিকেট ময়দানে কাল হার মেনেছে বাংলাদেশ। এতে সবাই কষ্ট পেয়েছেন। সেই কষ্টটা ছুঁয়ে গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার হৃদয়। কিন্তু রংপুরে সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাটে যে পুরো বাংলাদেশের হেরে গেছে। সেই ক্ষতিটা কখনো পুষিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। সেই কষ্ট আর বেদনা সারা দেশকেই অসম্ভবভাবে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। ভেঙেছে সবার হৃদয়। সাবেক টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি সেটাই যেন ফুটিয়ে তুলেছেন নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের হারে যে কষ্ট না পেয়েছেন। পুরো বাংলাদেশের হারে যে মাশরাফি তার চেয়ে বেশি মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। তার হৃদয় ভেঙে যে চৌচির হয়েছে। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানালেন সেই কষ্টের কথা, 'কাল দুইটা হার দেখেছি, একটা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, যেটায় কষ্ট পেয়েছি। আর একটি পুরো বাংলাদেশের, যা হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার করেছে।'
এমন বাংলাদেশ কি কেউ চেয়েছেন? যেখানে মানুষের স্বপ্ন আর কষ্টার্জিত জীবন যুদ্ধ এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাবে। এই প্রশ্নই এখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে মাশরাফিকে। সেটা জানাতে ভুলেননি নড়াইল ২ আসনের জননন্দিত এ সংসদ সদস্য, 'এ লাল সবুজ তো আমরা চাইনি কতো কতো স্বপ্ন, কতো কষ্টার্জিত জীবন যুদ্ধ এক নিমিষেই শেষ।'
সব শেষে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার কাছে মাশরাফির আর্জি সবাই যেন সঠিক পথনির্দেশনা পান, 'আল্লাহ আপনি আমাদের হেদায়েত দিন।'