প্রতিপক্ষ দিল্লী ক্যাপিটালসকে অল্পতে আটকে দিয়ে জয়ের পথেই ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। কিন্তু সহজ ম্যাচটি শেষ দিকে দিল্লীর রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ক্যাগিসো রাবাদা ও আনরিচ নর্টজের আগুনে বোলিংয়ে কঠিন হয়ে পড়েছিল। হারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতা।
সৌভাগ্যই বলতে হয়। শেষ দুই বলে জয়ের জন্য ৬ রানের দরকার ছিল কলকাতার। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে রাহুল ত্রিপাঠির নাটকীয় ছক্কায় শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিব আল হাসানের দল। সঙ্গে আইপিএলের ফাইনালে নাম লিখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)।
এক উইকেটে ১২৩ রান তুলে ফেলেছিল কলকাতা। কিন্তু শেষ দিকে অবিশ্বাস্য বোলিং পারফরম্যান্সে ম্যাচ জমিয়ে তোলে দিল্লী। মাঠের লড়াইয়ে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে কলকাতার ৬ উইকেট তুলে নেয় তারা মাত্র ৭ রান নিয়ে। শূন্য রানে ফেরেন দিনেশ কার্তিক, ইয়ন মরগান, সাকিব আল হাসান ও সুনীল নারিন।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের টিম দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচ জিতে ৩ উইকেটে। জয় ধরা দেয় এক বল হাতে রেখেই।
উদ্বোধনী জুটিতে ৯৬ রান তুলে জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার ভেনকাটেশ আইয়ার ও শাবমান গিল। ম্যাচসেরা আইয়ার (৫৫) ফিফটি পেলেও গিল (৪৬) চার রানের জন্য অর্ধ-শতক বঞ্চিত হন।
শেষে ১১ বলে ১২* রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে কলকাতাকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ত্রিপাঠি। তার ছক্কাতেই জয়ের উৎসবে মাতে সাকিবরা। ১৯.৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য ১৩৬ রান তুলে ফেলে কলকাতা।
টানা দুই বলে দুই উইকেট শিকার করে শেষ ওভারের রোমাঞ্চটা বাড়িয়ে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু তার হ্যাটট্রিক বলে ছক্কা উড়িয়ে জয় ছিনিয়ে নেন ত্রিপাঠি। তার সমান দুটি করে উইকেট নেন ক্যাগিসো রাবাদা ও আনরিচ নর্টজে।
তার আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট হাতে নেমে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৫ রানের পুঁজি গড়ে দিল্লী ক্যাপিটালস। চার ওভারে ২৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। দুটি উইকেট নেন বর্ণ চক্রবর্তী।