আন-অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ওমান 'এ' দলকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে সেই বাংলাদেশই অচেনা হয়ে গেল।
দুরন্ত বোলিং শুরু করেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ দিকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় শ্রীলঙ্কার হাতে। আর তাতেই টাইগাররা হার মানল ৪ উইকেটে।
লিটন-মুশফিকরা ব্যাটিং ধস সামাল দিতে না পারলেও পেরেছে শ্রীলঙ্কা। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অফিসিয়াল প্রস্তুতি পর্ব হার দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ।
১১ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের লাগাম ধরে রেখেছিল টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা ৭৫ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট।
কিন্তু অসাধারণ দৃঢ়তায় দলের ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে তোলেন আভিশকা ফার্নান্ডো ও চাকিমা করুনারত্নে। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটির ওপর ভর করে ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন সৌম্য।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং প্রস্তুতিটাও মোটেই ভালো হয়নি টাইগারদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম অফিসিয়াল ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ।
লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন সৌম্য সরকার। উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে ২৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার জার্সি গায়ে দুশমন্থ চামিরা একাই শিকার করেন ৩ উইকেট।
আবুধাবিতে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ।
ওমান 'এ' দলের বিপক্ষে আন-অফিসিয়াল ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন দাস। লঙ্কানদের বিপক্ষেও লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন। নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পিঠের চোট নিয়ে ছিলেন মাঠের বাইরে। ইনজুরি গুরুতর না হলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে খেলানোর কোনো ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেননি তাসকিন আহমেদ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বদলে এ ম্যাচের একাদশে ফিরেন এ তারকা পেসার। আইপিএলের ব্যস্ত সূচি শেষ করে দলে যোগ দেওয়ায় বিশ্রামে রাখা হয় স্টার ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমানকে।
বাংলাদেশ একাদশ: মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ।