অনেক দিন ধরেই অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন জালাল আহমেদ চৌধুরী। কিন্তু আর পারলেন না। খ্যাতিমান এ ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক এ ক্রিকেটার।
কিছুদিন ধরেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেট কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী। কাশি আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। খানিকটা সুস্থ হলে ফেরেন ঘরে।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত বুধবার ফের হাসপাতালে ভর্তি হন। ছিলেন ভেন্টিলেশনে। ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে শরীর ফুলে গিয়ে ছিল তার। এবার আর ঘরে ফেরা হলো না এ ক্রীড়া সংগঠক ও সাংবাদিকের। পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন সব কিছুর ঊর্ধ্বে।
১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম আইসিসি ট্রফি মিশনে জালাল আহমেদ চৌধুরী ও ওসমান খান ছিলেন টাইগারদের কোচ। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ী লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রস্তুতি পর্বে তিনি ছিলেন কোচ গর্ডন গ্রিনিজের সহকারী।
ক্রিকেট লিখিয়ে জালাল আহমেদের জন্ম ১৯৪৭ সালে। বেড়ে উঠেন আজিমপুর কলোনিতে। ষাটের দশকে উদিতি ক্লাবের হয়ে শুরু হয় তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। এ ওপেনিং ব্যাটসম্যান উইকেটকিপিং ও অফ স্পিন বোলিংয়েও সিদ্ধ হস্ত ছিলেন।
তিনি কোচিং আজাদ স্পোর্টিং, করান আবাহনী, মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, ধানমণ্ডি, ইয়াং পেগাসাস, সাধারণ বীমা ও কলাবাগানসহ বিভিন্ন ক্লাবে।
আশির দশকে নিউ নেশন পত্রিকায় ক্রীড়া সাংবাদিকতা শুরু জালাল আহমেদের। পরে দীর্ঘদিন ছিলেন টাইমস-এ। ইংরেজি পত্রিকায় কাজ করলেও বাংলায় কলাম লিখে বেশ সুনাম কুড়ান।
জালাল আহমেদ চৌধুরী ২০১১ সালে হারান প্রিয় সহধর্মিণীকে। তার দুই সন্তান থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। বিদেশের বিলাসবহুল জীবনযাপন ছেড়ে আজিমপুরের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তিনি।