জোশুয়া দা সিলভা ও আলজারি জোসেফের ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪০৯ রানের বিশাল পুঁজি গড়েছে অতিথি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম দিনেই আঁচটা দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় সংগ্রহের পথে হাঁটতে যাচ্ছে তারা। দ্বিতীয় দিন ঠিক সেটাই করে দেখাল অতিথিরা। এনক্রুমাহ বোনার ফিরলেও ব্যাটিং ছন্দটা ধরে রাখেন জোশুয়া দা সিলভা। ব্যাটিং তাণ্ডবে তার সঙ্গে যোগ দেন আরজারি জোসেফও।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন চট্টগ্রাম টেস্টের কাইল মেয়ার্সের ‘বিধ্বংসী রূপে’ যেন ক্রিজে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন এনক্রুমাহ বোনার। দিয়েছিলেন মেয়ার্সের মতো সেঞ্চুরি বা ডাবল সেঞ্চুরির পথে হাঁটার ইঙ্গিত। তার কোনোটাই শেষ পর্যন্ত হয়নি। তবে বড়সড় একটা ইনিংস খেলেই ক্ষান্ত হয়েছেন তিনি। ১০ রানের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। নার্ভাস নাইনটিতে পৌঁছে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে তুলে দেন ক্যাচ। ২০৯ বলে ৭ চারে খেলেন ৯০ রানের দাপুটে এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।
বোনার সাজঘরে ফিরলেও নিজের হাতের ব্যাটিং মশালটা দিয়ে আসেন সতীর্থ জোশুয়া দা সিলভার হাতে। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের রানের পাহাড়ে তুলে দিয়েছেন সিলভা। তবে মিস করেছেন সেঞ্চুরি। ১৮৭ বলে ১০ চারে ৯২ রান নিয়ে বোল্ড হন তাইজুলের বলে। আর ১০৮ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৮২ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলেন তার সঙ্গী আলজারি জোসেফ। দুজনে মিলেন গড়েন ১১৮ রানের পার্টনারশিপ।
আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলাম শিকার করেছেন চারটি করে উইকেট। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বোনারের মূল্যবান উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
তার আগে ৫ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে উইন্ডিজ। আগের দিন ৭৪ রানে হার না মানা বোনার সকালের সেশনে ১৬ রান তুলেই বিদায় নেন মাঠ থেকে। ২২ রানে তাকে সঙ্গ দেওয়া সিলভা নিজের ইনিংসে যোগ করে আরও ৭০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৪০৯/১০, ১৪২.২ ওভার (ব্রাফেট ৪৭, ক্যাম্পবেল ৩৬, বোনার ৯০, সিলভা ৯২ ও জোসেফ ৮২; রাহী ৪/৯৮, তাইজুল ৪/১০৮, সৌম্য ১/৪৮ ও মিরাজ ১/৭৫)।