প্রথম দিনেই আঁচটা দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় সংগ্রহের পথে হাঁটতে যাচ্ছে তারা। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ঠিক সেটাই করে দেখাল অতিথিরা। এনক্রুমাহ বোনার ফিরলেও ব্যাটিং ছন্দটা ধরে রেখেছেন জোশুয়া দা সিলভা। তাইতো টাইগারদের অনুজ্জ্বল বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ বিরতিতে যাওয়ার আগে ৬ উইকেটে ৩২৫ রানের পুঁজি গড়ে ফেলেছে ক্যাপ্টেন ক্রেইগ ব্রাফেটের দল।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন চট্টগ্রাম টেস্টের কাইল মেয়ার্সের ‘বিধ্বংসী রূপে’ যেন ক্রিজে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন এনক্রুমাহ বোনার। দিয়েছিলেন মেয়ার্সের মতো সেঞ্চুরি বা ডাবল সেঞ্চুরির পথে হাঁটার ইঙ্গিত। তার কোনোটাই শেষ পর্যন্ত হয়নি। তবে বড়সড় একটা ইনিংস খেলেই ক্ষান্ত হয়েছেন তিনি। ১০ রানের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। নার্ভাস নাইনটিতে পৌঁছে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে তুলে দেন ক্যাচ। ২০৯ বলে ৭ চারে খেলেন ৯০ রানের দাপুটে এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।
বোনার সাজঘরে ফিরলেও নিজের হাতের ব্যাটিং মশালটা যেন দিয়ে এসেছেন সতীর্থ জোশুয়া দা সিলভার হাতে। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের রানের পাহাড়ে তোলার চেষ্টাই করে যাচ্ছেন সিলভা। ১৩৬ বলে ৮ চারে ৭০ রান নিয়ে ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে আছেন তিনি। ৩৪ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন আলজারি জোসেফ।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বোনারের একমাত্র মূল্যবান উইকেটটি শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
তার আগে ৫ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে উইন্ডিজ। আগের দিন ৭৪ রানে হার না মানা বোনার সকালের সেশনে ১৬ রান তুলেই বিদায় নেন মাঠ থেকে। ২২ রানে তাকে সঙ্গ দেওয়া সিলভা নিজের ইনিংসটাকে ফুলিয়ে ৭০ রানে দাঁড় করেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৩২৫/৬, ১১৯ ওভার (ব্রাফেট ৪৭, ক্যাম্পবেল ৩৬, বোনার ৯০ ও সিলভা ৭০*, জোসেফ ৩৪*; রাহী ২/৭৫, তাইজুল ২/৯০, সৌম্য ১/৩০ ও মিরাজ ১/৬৮)।
*দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজ বিরতি পর্যন্ত