দুরন্ত ব্যাটিংয়ে টাইগারদের হৃদয় ভাঙল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মেয়ার্সের দাপুটে ডাবল সেঞ্চুরিতে সফরকাঐরীরা প্রথম টেস্ট জিতল ৩ উইকেটে।
দুর্দান্ত এ জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অতিথিরা।
অথচ বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ৩৯৫ রানের লক্ষ্যটা তারুণ্য নির্ভর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে পাহাড়সম বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে হয়েছিল। লাল-সবুজের সমর্থকরা যেন জয় উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েই রেখে ছিল।
তবে সবার ধারণা ভুল প্রমাণ করে ক্যারিবিয়ানদের সেই তরুণরাই পঞ্চম দিনের চতুর্থ ইনিংসে দেখালে দুর্বার ব্যাটিং। শুধু তাই নয়, টাইগারদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল জয়।
চতুর্থ দিনের শেষ দিকে বোলিংয়ে ছোবল মারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনটি উইকেটই নেন এ সেঞ্চুরিয়ান। মনে হচ্ছিল পঞ্চম দিনেও বাংলাদেশের বোলিং আধিপত্যটা বজায় থাকবে। কিন্তু অভিষিক্ত কাইল মেয়ার্স ও এনক্রুমাহ বোনার তা হতে দেননি। শেষ দিনের প্রথম দুই সেশনে কোনো উইকেটই ফেলতে পারেনি স্বাগতিকরা। তৃতীয় সেশনের শুরুর দিকে টাইগাররা দ্রুত দুই উইকেট নিলেও তাতে লাভ হয়নি। কেননা চতুর্থ উইকেটে মেয়ার্স-বোনের ২১৬ রানের পার্টনারশিপে জয়ের ভিত গড়ে ফেলে উইন্ডিজ।
২৪৫ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় বোনের ৮৬ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেও প্রিয় দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন মেয়ার্স।
২১০ রানের হার না মানা চোখ ধাঁধানো এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে নিজের অভিষেক ম্যাচটা রাঙিয়ে নেন মেয়ার্স। তার ৩১০ বলের ইনিংসে ছিল দর্শনীয় ২০টি চার ও ৭টি ছক্কার মার। ম্যাচের শেষ দিকে জোশুয়া দা সিলভার সঙ্গেও মেয়ার্স গড়েন শত রানের জুটি। এমন মন কাড়া ব্যাটিং পারফরম্যান্সেই ক্যারিবিয়ানরা সাত উইকেট হারিয়ে অনেকের কাছে মনে হওয়া ৩৯৫ রানের 'অসম্ভব' লক্ষ্যটাকে সম্ভব করে ফেলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৩০ ও ২২৩/৮ডিক্লে, (মমিনুল ১১৫, লিটন ৬৯, ওয়ারিক্যান ৩/৫৭, কর্নওয়াল ৩/৮১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৫৯/১০ ও ৩৯৫/৭, ১২৭.৩ ওভার (মেয়ার্স ২১০*, বোনের ৮৬; মিরাজ ৪/১১৩, তাইজুল ২/৯১)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: দুই টেস্টের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যাচ সেরা: কাইল মেয়ার্স।