রোববার, ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টেস্ট দলের কোন অনুশীলন ছিল না। ক্রিকেটাররা বিশ্রামে ছিলেন। ক্রিকেটহীন এমনদিনে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এই সিরিজে বাংলাদেশ দল এবং সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। টেস্ট সিরিজের জন্য নির্বাচকরা ৩০ জানুয়ারি ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন। সেই দল এবং টেস্ট সিরিজে দল নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলছিলেন- ‘১৮ জনের দল দেওয়া হয়েছে মূলত করোনা মহামারির এই সময়কে মাথায় রেখে। কে কখন অসুস্থ হয় সেই চিন্তা থেকেই আমরা স্কোয়াডটা বড় করেছি।’
১৮ জনের এই দলে পাঁচ পেসারকে নির্বাচন করা হয়েছে। দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ সাধারণত বাংলাদেশ দল স্পিন নির্ভর উইকেটেই খেলে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলটাও স্পিনে বেশ দুর্বল। তাই আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশ একাদশ স্পিননির্ভর হবে পেস বোলিংয়ে বাড়তি শক্তি নিয়ে নামবে? এই প্রশ্নের খোঁজে মিনহাজুলের উত্তর- ‘আমরা দেশের মাটিতে সবসময় যেভাবে খেলি সেভাবেই খেলবো। তবে ম্যাচের একাদশ নিয়ে এখনই বলা মুশকিল। ম্যাচ শুরুর ২৪ ঘন্টা আগে টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশ চূড়ান্ত করবে। কয়টা স্পিনার, কয়টা সিমার নিয়ে খেলবে এটা তখনই সিদ্ধান্ত হবে। আগাম বলা মুশকিল যে কখন কাকে খেলানো হবে।’
জানা কথা বাংলাদেশ টেস্ট একাদশে দুইয়ের বেশি পেসার খেলাবে না। তা সত্ত্বেও টেস্ট দলের ১৮ সদস্যের মধ্যে ৫ জন পেস বোলার কেন?
প্রধান নির্বাচক এই প্রসঙ্গে খুব চমৎকার একটা ক্রিকেটীয় ব্যাখা দিলেন। বললেন- ‘টিমের মধ্যে স্পিনার, পেস বোলার সবাইকেই তৈরি রাখতে হয়। কারণ আমরা যখন পুল তৈরি করি তখন কিন্তু শুধু একটা টেস্ট ম্যাচ মাথায় রেখে টিম করা হয় না। এটা সামনের কথা ভেবে, বিদেশের মাটিতে খেলার বিষয় মাথায় রাখা হয়। তারপরও দেশের মাটিতে বেশি স্পিনার নিয়েই আমরা খেলি। কম্বিনেশনটা যেন ঠিক থাকে, বোলারদের স্ট্যান্ডার্ড যেন ঠিক থাকে সেভাবেই ভারসাম্য রাখা হয়। এখানে পাঁচ জন পেসার রাখা হয়েছে কারণ অনেকদিন পর আমরা টেস্ট খেলছি, যে কোন সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে। পাঁচ দিনের টেস্ট শেষে আপনি বলতে পারেন না যে তাদের স্ট্যামিনা একই রকম থাকবে। সে হিসেবে তাদের ফিটনেস লেভেলের কথা চিন্তা করে আমরা পাঁচ জন পেসার রেখেছি। আশা করি সবার ফিটনেস লেভেলটা ভালো অবস্থায় আছে এবং দুটো টেস্টেই তাদের আমরা ভালো অবস্থানে পাবো।’