ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছে পরিষ্কার ৩-০ ব্যবধানে। সহজেই ওয়ানডে ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দলের ব্যাটসম্যান হিসেবে লিটন কুমার দাসের সময়টা মোটেও ভাল কাটেনি। তিন ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন। সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠার জন্য লিটন দাস অপেক্ষা করছেন এখন টেস্ট সিরিজের।
শনিবার চট্টগ্রামে দলের অনুশীলন শেষে সেই প্রতিজ্ঞার কথাই জানালেন লিটন- ‘অনেক দিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলছি এটাতে অনেক খুশি। টেস্ট ক্রিকেট তো টোটালি অন্য রকম একটা জিনিস। দেশের হয়ে টেস্ট খেলার ফিলিংসই অন্য রকম। ওয়ানডে সিরিজে আমি ভালো করতে পারিনি, কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট পুরোপুরি আলাদা ফরম্যাট। আমি চাচ্ছি না ওয়ানডের ব্যর্থতার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে বা রিকল করতে। টেস্ট ম্যাচে আমার ভুমিকাটা একটু ভিন্ন। চেষ্টা করব এখানে সেই রোলটা ভালো করে পালন করার জন্য।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে লিটন দাস দলের হয়ে ব্যাটিং ওপেনিং করলেও টেস্ট ম্যাচে ব্যাটসম্যান হিসেবে তার ভূমিকা ভিন্ন। টেস্টে সাধারণত পাঁচ-ছয় বা সাতে ব্যাট করতে নামেন। এখন পর্যন্ত খেলা ২০ টেস্টে লিটনের হাফসেঞ্চুরি ৫টি। সর্বোচ্চ রান ৯৪। টেস্টে তার এই বড় ইনিংস গুলোর সবগুলোই এই পজিশনে ব্যাট করে পাওয়া। তবে টেস্ট ক্রিকেটেও ওপেনার হিসেবেও খেলেছেন লিটন। কিন্তু সাফল্য নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজেও লিটনের ব্যাটিংয়ের জায়গা শেষের সারিতেই থাকছে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দাঁড়াতেই পারেনি। এক তরফা দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে। তবে টেস্ট সিরিজও যে অমন সহজ কিছু হবে- সেটা ভাবছেন না লিটন দাস। জানালেন- ‘আমরা অনেক দিন পওে টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে নামছি। এই সিরিজটা অবশ্যই কঠিন হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের খুব ভালো পেস অ্যাটাক এবং স্পিনও আছে। অনেক কিছু পরিস্থিতির ওপর টেস্ট ম্যাচ নির্ভর করে। টেস্ট সিরিজে আমাদেও ভাল ক্রিকেট খেলতে হলে, তুলনামূলক ভাল পারফরম্যান্স করার জন্য অনেক সময় উইকেটে ব্যয় করতে হবে। চাপের সময়ের পরিস্থিতিগুলো যথাযথভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে। ব্যাটিংয়ে বড় পার্টনারশিপ, বোলিংয়ে ওদের চাপে রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিজেদের পক্ষে রাখতে হবে। তাহলেই ম্যাচ পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।’