অভিষেক ম্যাচে ৬ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৮ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ ওভারে ৫৪ রানে ১ উইকেট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুটা এভাবেই হলো হাসান মাহমুদের। পারফরমেন্স স্বস্তিকর শুরুর কথাই জানাচ্ছে। তবে শুধুমাত্র এটুকুতেই যে হাসান মাহমুদ থেমে থাকবেন না, সেটাই স্পষ্ট করলেন- ‘যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও চেষ্টা করেছি প্রথম ম্যাচের মতই পারফর্ম করার কিন্তু হয়নি। অসুবিধা নাই, ইনশা আল্লাহ নেক্সট টাইম হবে।’
সেই নেক্সট ম্যাচ ২৫ জানুয়ারি, সোমবার চট্টগ্রামে। এই ম্যাচে নামার আগে রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লম্বা সময় জুড়ে দলের সঙ্গে অনুশীলনে ছিলেন হাসান মাহমুদ। অনুশীলন শেষে নিজের শুরু, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বোলিং কৌশল-সবকিছু নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
পেস বোলারের জন্য সহজ গতিময় ও নির্ভার বোলিং অ্যাকশন অনেক বড় সম্পদ। হাসান মাহমুদ সেই স্মুথ বোলিং অ্যাকশন পেয়েছেন। নিজের বোলিং অ্যাকশন প্রসঙ্গে এই তরুণ বলছিলেন- ‘এটা আসলে গড গিফটেড আসলে। আমি আমার মতই বল করি।’
ক্লাব ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফরমেন্সের পুরস্কার হিসেবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই পর্যায়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এই ক্রিকেটার- ‘এই দুই পর্যায়ের ক্রিকেটের মধ্যে পার্থক্যটা বেশ স্পষ্ট। ঘরোয়া লিগে আমরা নিজেদের মধ্যেই খেলি। সবাই সবাইকে বেশ ভালভাবেই চিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবাই অপরিচিত। যাদের সঙ্গে আগে কখনোই খেলিনি, এমন ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে লড়তে হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। ইনশা আল্লাহ সামনের সময়ও ভালোই হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট লড়াইয়ে অবশ্যই দৃঢ় মানসিক শক্তি দরকার। সেই শক্তি নিয়েই খেলতে নামি আমি। আর আমার কাছে যে কোন ক্রিকেট ম্যাচ মানেই লাইন-লেন্থ ও পেসের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। ভাল পারফর্ম করার জন্য সার্বিক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
সাফল্যের পূর্বশর্ত হল কঠিন পরিশ্রম। ক্যারিয়ারের সামনের সময়ে নিজেকে পরিশ্রমের মধ্যেই রাখতে চান এই তরুণ। শিখতে চান প্রতিটি ধাপে। জাতীয় দলের হয়ে খেলার ছোটবেলার স্বপ্ন সফল হয়েছে। এখন একটাই মিশন-আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে সফল করে তোলা।