ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিতে জোরালো কর্মসূচি আসছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আবারও কর্মসূচি আসছে, জোরালো কর্মসূচি। সময়মতো সঠিকভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী দেখতে পাবেন কেমন কর্মসূচি আসে।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে এটা প্রথম শর্ত। তারপর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সেনাবাহিনী নিয়োগ দিতে হবে ম্যাজিস্ট্রি ক্ষমতাসহ এবং একই সঙ্গে সমস্ত দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। যা আমরা একবার দুবার না, বার বার বলে আসছি।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ, জনগণ তাদের ভোট দেবে না। সুতরাং যত রকমের দুষ্টামি আছে সব শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, ইভিএম আমদানি করা হবে। আমরা বলেছি ইভিএম চলবে না। শুনতে পাচ্ছি পুলিশকে বলা হচ্ছে, সমস্ত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে। কেন? ইলেকশন যদি করতে চান, তাহলে সবাইকে মুক্ত করে নির্বাচন করেন। সুতরাং চ্যালেঞ্জ তো তাদের, তারা জনগণকে তারা কিভাবে ঠেকাবে। সেই চ্যালেঞ্জ তারা আগে মোকাবেলা করুক।
ফখরুল আরও বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, গণতন্ত্রের জন্য, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য, নির্বাচনকে অর্থবহ করতে সরকারের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব রয়েছে। একইসঙ্গে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজসহ সবার দায়িত্ব রয়েছে।