হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে যশোর ও বগুড়ায় উপ-নির্বাচন না করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় পার্টি। পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি স্বাক্ষরিত এই চিঠি বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ইসিতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, জাতীয় পার্টির সাহিত্য সম্পাদক সুমন আশরাফ এবং যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম চিঠিটি নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে দিয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেছেন, গেলো বছর ১৪ জুলাই সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালনকালে ইন্তেকাল করেন। জাতীয় পার্টি ১৪ জুলাই দলগতভাবে শোক দিবস হিসেবে পালন করবে। দেশবাসী এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবেন এরশাদকে। ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির অগণিত নেতা-কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে অত্যন্ত শোকাবহ অনুভূতির দিন।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতেই যশোর ও বগুড়ার দুটি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা হয়তো অসতর্কতার কারণেও হতে পারে। তাই ১৪ জুলাইয়ের আগে-পরে যেকোনো দিন উপ-নির্বাচনের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন।
চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সব সময় ভূমিকা রেখে আসছে। আমরা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সব সময় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে আসছি। ঘোষিত নির্বাচনেও জাতীয় পার্টির অংশ গ্রহণ আছে।
নির্দিষ্ট সময়ে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা আছে। তবে, করোনা সংক্রমণজনিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সেই বাধ্যবাধকতার গণ্ডি ইতোমধ্যেই পার হয়ে গেছে। যেকোনো নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ এবং পরিবর্তনের এখতিয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আছে। অতীতেও প্রয়োজনে ঘোষিত নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন। তাছাড়া সপ্তাহের মাঝে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজিরও নেই।
তাই, যশোর ও বগুড়া উপ-নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করে জাতীয় পার্টির অগণিত নেতা-কর্মীর অনুভূতির প্রতি সহানুভূতি দেখাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।