জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হন্তারকদের সাহায্যকারী দল বিএনপির সঙ্গে সংলাপ কিসের বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
টেলিভিশনের টক-শো কারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে যারা পঁচাত্তর থেকে বাংলাদেশের ৪৩ বছরে ইতিহাসকে ভুলে গেছে; সত্যের বিকৃতি করছেন। গণতন্ত্রের নামে মূল্যবোধের নামে যারা সংলাপ চেয়ে টক-শো মাতামাতি করছে। বক্তব্যে গণতন্ত্রের জন্য অশ্রুপাত করছে; তারা কি ভুলে গেছেন- আমাদের রক্তপাতের ইতিহাস? আমাদের আচ্ছন্নতার ইতিহাস?
বুধবার(১ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ।
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট মঞ্চে কারা ছিল? নেপথ্যে কারা ছিল-হন্তারক আমি তোমাদের চিনি। বঙ্গবন্ধুকে প্রকাশ্যে হত্যা করছে….তাদের চেয়ে কি যারা হত্যাকারদের বিদেশে যেতে সাহায্য করল; দুতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করল; পুর্নাবাসিত করল। কুখ্যাত ইমডিনিটি অডিন্যান্স দিয়ে হন্তারকদের বিচারের পথ বন্ধ করে দিল? তাদের সঙ্গে কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংলাপ চলে?
‘তারা কারা- হত্যা কারা আর হত্যাকারীদের সাহায্য করা বা উৎসাহিত করা অপরাধ কি- নাকি নয়? সেই দলের সঙ্গে আমাদের সংলাপ কিসের?’
তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সময় ক্ষমতায় কে ছিলেন- যিনি আজ জেলে আছেন তিনি। হাওয়া ভবনের মালিক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে বিএনপি চালাচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড কারা মেরেছিল- কারা করেছিল? কারা ঘটিয়ে ছিল এ ঘটনা?...তাদের সাথে মুখোমুখি হয়ে চোখে চোখ রেখে সংলাপ কিভাবে করব। সে পরিবেশ কি তারা রেখেছে?’
সন্তান হারা বেগম জিয়াকে সান্ত্বনা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, দাঁড়িয়ে ছিলেন তবে দরজা খুলেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দরজা না খোলায় সেদিনেই সংলাপের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘পাঁচটি জন্মদিবস একজনের।পাঁচটি ভুয়া মধ্যে কোনটা সঠিক? জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডে দিনে যারা কেক কেটে ভুয়া জন্মদিন পালন করেন; তার জন্য দুঃখ প্রকাশ না করেন তাহলে তাদের সাথে সংলাপে কিসের?
বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল আলম, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।