ঢাকা: বিচারহীনতার কারণে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হলে, ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক থাকলে এবং শাজাহান খানরা অনিয়মকে প্রশ্রয় না দিলে এ অবস্থা দেখতে হতো না।
বুধবার(১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শাজাহান খানরা শ্রমিকদের কন্ট্রোলের বাইরে নিয়ে গেছে। আমি যখন পরিবহন ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলাম শাজাহান খান তখন শ্রমিক নেতা। শাজাহান খান ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছে আমার অফিসের সামনে। চাঁদা বৃদ্ধির দাবিতে। আমি বলেছি কোন অনিয়ম প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
'শিশুদের জীবন বাঁচানোর আন্দোলনে সরকার আতঙ্কিত বলেও মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।'
তিনি বলেন, বিমানবন্দর সড়কে নিহত ২ শিক্ষার্থী হত্যার সাথে জড়িতদের এবং আন্দোলনকারী শিশুদের গায়ে যেসব পুলিশ সদস্যরা হাত তুলেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
'পুলিশ শিশুদের উপর হামলা করছে এমন ছবি ফেসবুকে দেখে নিচে কমেন্টসও করেছি যে, তোমাদের বাড়িতে শিশু ছেলে মেয়ে নেই? ভাইস্তি, ভাতিজা নেই?'
মির্জা আব্বাস বলেন, পাকিস্তান আমলের ইয়াহিয়া খানের মতো হাসি হাসলেন শাজাহান খান। ইয়াহিয়া খান ও টিক্কা খানের মত পৈশাচিক হাসি হাসছেন লীগের নেতারা। এই পৈশাচিক হাসি থেকে আমাদেরকে রক্ষা পেতে হবে।
কোটা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গায়ে যারা হাত তুলেছে তাদের বিচার করতে হবে। যারা ইন্ধন যুগিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। যেসব পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে, গুলি চালিয়েছে তারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নেন না? তারা তো চাকরি চায়নি তারা মেধার মূল্যায়ন চেয়েছে।
নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি তার সিদ্ধান্ত থেকে একচুলও নড়চড় হবে না জানিয়ে তিনি বলেন,
যা বলেছি সেখান থেকে এক চুলও নড়চড় হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, ইউপি নির্বাচন এবং সবশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে আমরা দেখেছি কোথাও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালিত হয় নাই। তাহলে আমরা কেন নির্বাচনে যাব।
জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ সভাপতি ইউনুস মৃধা প্রমুখ।