নিজের ভাষা বাঁচাতে বিদেশি ভাষা জানতে হবে: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-29 01:08:33

নিজের ভাষাকে বাঁচাতে হলে বিদেশি ভাষা জানতে হবে। মাতৃভাষার প্রতি প্রীতি মানে অন্য ভাষার প্রতি অপ্রীতি নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের বলেন, বিদেশি ভাষার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। আমরা যদি ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি তাহলে ইংরেজি জানতে হবে। ইংরেজি যদি না জানি তাহলে বাংলায় অনুবাদ করবো কীভাবে। বাংলার জন্যই অন্য ভাষার প্রতি জোর দিতে হবে।

তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির সংগ্রাম শুধু ভাষার জন্য নয়, স্বকীয়তার সংগ্রাম। শহীদরা নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এর মাধ্যমে জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব দরবারে। স্বাধীনতার বীজ একুশে ফেব্রুয়ারি বপন হয়েছিল। এখন যেভাবে উদযাপন হচ্ছে তা অসামঞ্জস্য নয়। এটা বাঙালি জাতির বড় অর্জন, সব জায়গায় আলোচনায় আসবে বাংলাদেশের নাম।

জিএম কাদের বলেন, আমাদের নেতা একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্মরণীয় করে রাখতে অনেক কাজ করেছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের। কোনো কিছু শিখতে হলে বা শেখাতে হলে মাতৃভাষা সবচেয়ে সুবিধাজনক।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দল শক্তিশালী না হলে আন্দোলনের কথা বলে লাভ হবে না। শেষে মাথা নত করতে হবে। আর যদি দলকে শক্তিশালী করতে পারি তাহলে এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে মাথা নত করতে হবে না। আগে দলকে শক্তিশালী করতে হবে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ৮ ফাল্গুন মাতৃভাষা দিবস পালন করা উচিত। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর কিছুদিন সময় পেলে এটা করে যেতেন। মাতৃভাষা দিবসে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনেছে আওয়ামী লীগ, তাই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

রাঙ্গা বলেন, আমাদের কর্মীরা কেন নিগৃহীত হচ্ছেন। কর্মীদের মধ্যে থেকে এসব কথা আসতে হবে। আমি যে কথা বলেছি, তার জন্য জবাবদিহি করতে হয়েছে। বিএনপি সংসদে অনেক খারাপ কথা বলে তাতে কিছু হয় না। আমরা কথা বললে মন খারাপ করেন কেন, একসঙ্গে নির্বাচন করেছি। বন্ধু হলে বন্ধুর মতো হতে হবে। আপনারা কেন স্বৈরাচার পতন দিবস পালন করেন। এই প্রশ্ন করেন না কেন।

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাদ পড়া নেতাদের উদ্দেশে রাঙ্গা বলেন, আমাকে তিনবার পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমিতো পার্টি ছেড়ে যাইনি। যাইনি কারণে উনি (এরশাদ) আমাকে আবার ডেকে নিয়েছেন। আপনারা যারা বাদ পড়েছেন, পরের বার আসবেন।

প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায় বলেন, ৫২ এর পরে দীর্ঘ সময় লেগে গেছে পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার পেতে। এরশাদের হাতেই পূর্ণতা পেয়েছে আজকের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। অনেকে অনেক কথা বলেন, কিন্তু ভাষা শহীদদের কেউ খোঁজ রাখেননি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রথম তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, বড় গাছের নিচে গাছ হয় না। পার্টিকে সংগঠিত করতে হলে স্বকীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকতে হবে। যেখানে জাতীয় পার্টির এমপি নেই সেখানে পার্টি বিলীনের পথে। আওয়ামী লীগ আমাদের নেতাদের পদ-পদবীর লোভ দেখিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, জাতীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার এমপি, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল হাসান শাহজাদা, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি আশরাফুজ্জামান খান, জাতীয় ওলামা পার্টির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সভাপতি ইসহাক আলী ভূঁইয়া, জাতীয় তরুণ পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন মৃধা, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইব্রাহিম খান জুয়েল প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর