সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাসে যান না। তারা ক্লাসের বাইরে নিজেদের কাজকর্ম করেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণের দাবিতে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা নিয়ে তিনি বলেন, জাতীয়করণ অবশ্যই হতে পারে। বিএনপি যেহেতু শিক্ষকদের জন্য এত কিছু করেছে তাহলে জাতীয়করণ করতে তো কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বুঝতে হবে বাংলাদেশের বাস্তবতা, সরকারি স্কুল কলেজের শ্রেণীকক্ষে যে শিক্ষা দেয়া হয় তা প্রাইভেট স্কুল-কলেজের ৫০ ভাগও না। বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক কে জিজ্ঞেস করবেন তারা স্বাক্ষ্য দিবেন।
সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাসে যান না উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, তারা ক্লাসের বাইরে নিজেদের কাজকর্ম করেন। এটাই সত্য, সরকারি প্রাইমারি স্কুলে কোন বেতন ভাতাদি লাগে না, তারপরেও এই দেশের নাগরিকরা পকেটের পয়সা খরচ করে প্রাইভেট স্কুলে সন্তানদের পাঠিয়ে থাকে। দেশের মানুষ বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি তাদের আস্থা রেখেছে।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের যাত্রায় শিক্ষকদের দায়িত্বের কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে, ছাত্র জনতার যে বিপ্লব হয়েছে, যে অভ্যুত্থান হয়েছে, তারপর ছাত্র-জনতা যে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে এসেছে, শিক্ষকদের গুরু দায়িত্ব হচ্ছে প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি শিক্ষিত জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে না পারি তাহলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে কোন সম্মানজনক জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পারব না।
শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং ইআরআই চেয়ারম্যান ড. আ ন ম ইহসানুল হক মিলন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।