‘যারা গণতন্ত্র এবং বাস্তবতায় থাকতে চান, তারা মহাসচিবের বক্তব্যকে অভিনন্দন জানানো উচিত ছিল। কিন্তু, তার স্বদিচ্ছা নিয়ে, তার উদ্যোগ নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে এটা দুঃখজনক ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি'র (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলটির আয়োজন করে ধানের শীষ ঐক্যমঞ্চ(ঘাটাইল)।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এখন নির্বাচন নিয়ে নানান কথা হচ্ছে। গণতন্ত্র ফিরে না আসলে অর্থাৎ ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার পরে জাতি গণতন্ত্রে ফিরবে, এটাতো বাস্তবসম্মত। গণতন্ত্রে ফেরার জন্য একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মধ্যে জাতিকে যদি না নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসার দ্বিতীয় কোনো পথ আছে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রে ফিরতে চান, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছেন। আর যারা নির্বাচনকে বিরোধিতা করতে চান, তারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। অর্থাৎ সকল দলের সাথে এই সরকারের সমান অধিকার থাকতে হবে। কিন্তু, নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের যারা উদ্যোগ নিয়েছেন, তারা যদি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন তাহলে বিতর্ক সৃষ্টি হবে। মহাসচিব সত্য কথা বলেছেন।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, যারা গণতন্ত্র এবং বাস্তবতায় থাকতে চান, তারা মহাসচিবের বক্তব্যকে অভিনন্দন জানানো উচিত ছিল। কিন্তু, তার স্বদিচ্ছা নিয়ে, তার উদ্যোগ নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে এটা দুঃখজনক ঘটনা।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আরেকটা হলো জিয়াবাদ এবং মুজীববাদ তারা দেখতে চান না। আমি বলবো, ভাই আপনাকে কে দেখতে বলেছে? কে ঠিকাদারি দিয়েছে আপনাকে? চোখ নাই, মাথা নাই, বুদ্ধি নাই, বিবেচনা নাই! মুজিব আর জিয়া একজিনিস নয়। মুজিব গণতন্ত্র হত্যা করেছে আর জিয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। মুজিব মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়ে গেছেন, আর জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন এবং যুদ্ধ করেছেন। মুজিব বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ এনেছে, আর শহীদ জিয়া বাংলাদেশ থেকে দুর্ভিক্ষ দূর করেছেন। শহীদ জিয়া আর মুজিবের মধ্যে যে পার্থক্য বুঝে না, সে নাকি আবার রাজনৈতিক দল গঠন করবে! এটা দুঃখজনক। মানুষ জানে, শহীদ জিয়া, বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান কী আর ফ্যাসিবাদ কী।
আরাফাত রহমান কোকো'র কথা উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আরাফাত রহমান কোকো শুধু প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার আদরের পুত্র নন, তিনি একজন বিশিষ্ট ক্রিড়া সংগঠকও ছিলেন। তিনি রাজনীতি'র সাথে না থাকলেও, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের একজন আদরের সন্তান ছিলেন। এই ধরনের একটা পরিবারের মানুষকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম টুটুলের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক,লোটন খন্দকার,হাতেম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।