বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা ৩১ দফা মানুষের কাছে নিয়ে যাব। মানুষের আস্থা ধরে রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, আমরা সেটাই করবো। আমরা জনগণের সাথে আছি, ইনশাআল্লাহ আমরা জনগণের সাথে থাকবো। রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণই আমাদের শেষ ভরসা।’
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, তিনি কর্মশালায় নেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদুল উল্লাহ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে জানতে চান- ‘গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে দেশের যে টাকাগুলো বিদেশে পাচার হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এগুলো আনার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?’
উত্তরে তারেক রহমান বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে ১৫ বছরে আমাদের দেশের ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে অবৈধভাবে পাচার হয়ে গেছে। ১৫ দিনের মধ্যেই তা আবিষ্কার করতে পেরেছে। এর মানে ভেতরে আরও অনেক কিছু আছে। যদি ভেতরে আরও গভীরভাবে...তাহলে দেখা যাবে দেশের কয়েক বছরের বাজেটের টাকার সমান চলে গেছে। পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। মানি লন্ডারিংয়ের টাকা আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে একটা সামঞ্জস্যের মাধ্যমে দেশের টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য একটা ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার লোকাল ফোরামের মাধ্যমে কথাবার্তা শুরু করেছে। আমরা দেখবো, অবজারভ করবো, তারা সেটা কতটুকু করতে পারেন। যদি পারেন তাহলে ভালো, আমরা সেটাকে স্বাগত জানাবো। আর কি পারেন সেটা দেখে জনগণ যদি আমাদের ভোট দিয়ে দেশ সেবার সুযোগ দেন। তাহলে বিভিন্ন ফোরামের মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বন্দোবস্ত করেই ছাড়বো।’
এর সঙ্গে যোগ করে তারেক রহমান আরও বলেন, অবশ্যই আমরা আন্তর্জাতিক ফোরামের সহযোগিতা নিব। তবে এর বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে যে প্রাইভেট সংস্থাগুলো আছে, তাদের সাথে আমরা কথা বলবো। আমাদের দেশের সম্পদ (পাচার হওয়া টাকা), দেশের মানুষের সম্পদ যে এনে দিতে পারবে, আমরা তার সাথেই কথা বলবো-বসবো।