সংস্কারের জন্য মাসের পর মাস প্রয়োজন হয় না: গয়েশ্বর

, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-10-25 15:43:17

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে কমপক্ষে ৪০টি দল একমত হয়ে আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলাম। আপনারা সেই ৩১ দফা নেন। সেখানে যদি কিছু পরিমার্জন করা লাগে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করুন। এই সংস্কারের জন্য মাসের পর মাস প্রয়োজন হয় না।’

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের পরিচিত সভায় তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনীতির বাইরে যে সংস্কার আসে, সেটা কল্পনার সংস্কার। সেই সংস্কার বাস্তবতার সাথে অনেক অমিল থাকে। এই কারণে রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদরা সমাধান করেন।

রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদরা সমাধান করে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা সবাই একমত হয়েছি একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করব। আমরা যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি সেগুলো আপনারা দেখেন। আপনারা যারা দায়িত্ব পেয়েছেন একসাথে বসে দেখেন কোন শব্দটা ভুল, কোন বানানটা ভুল। তারপর জাতির সামনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নারীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটি শক্তিশালী ফোরাম প্রয়োজন। এই ফোরাম কোন দলীয় ফোরাম। এটি স্বতন্ত্র একটি নারী ও শিশু সংগঠন।

গয়েশ্বর রায় বলেন, দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া। নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগছে, কিন্তু চূড়ান্ত বিজয়ে তিনি জয়ী লাভ করছেন।

তিনি বলেন, একটা দল নিষিদ্ধ হয়েছে তাদের তো গ্রেফতার হচ্ছে না। সবাই তো আরাম আয়েশে ঘোরাফেরা করছে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পরে জাহাঙ্গীর কবির নানক ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়েছেন এই বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার কতটুকু যোক্তিক?

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বছরের পর লাখ লাখ কোটি টাকা বাজেট দিয়ে ১৫ বছরে মাত্র ১৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। এই টাকা দেশে আনা প্রয়োজন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যেমন মুকুট দিয়েছি সেটা খুলতে চায় না সম্মান দিতে চায়। কিন্তু আপনারা এটা ভাববেন না কয়েকজন ছাত্র আপনাদের সরকারকে বসিয়েছে।

সেলিমা রহমান বলেন, তারেক রহমান বলেছেন দেশে নারী ও শিশুরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছে, তাদের রক্ষায় একটি কমিটি করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা কমিটি করে যেখানে নারী নির্যাতন হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়েছি।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারী কেন ধানের শীষে ভোট দিয়ে, সে কারণে তাকে ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকেরা নির্যাতন করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেখেছেন কীভাবে তারা নারী ও শিশুদের হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। স্বৈরাচার পতন হয়েছে, কিন্তু নারীরা এখনও মুক্ত হয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশ যে মূল্যবোধে স্বাধীন হয়েছে, সেই মূল্যবোধ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তারা দেশের সব সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে নিজেদের মতো করে আলাদা পৈশাচিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করেছে।

পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, দলটির যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড আব্দুস সালাম আজাদ, দলটির সেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরফত আলূ সপু, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর