তাপমাত্রা কমে গেছে, লোডশেডিংও কমে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে লোডশেডিং আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
সোমবার (১২ জুন) বিকালে রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ঢাকা-১৬ আসনের অন্তর্গত ইউনিটের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ নিয়ে তুলকালাম। আরে তোরা দিলি খাম্বা, আমরা দিলাম বিদ্যুৎ। যদি বিদ্যুতের ঘাটতি হতো, কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ হয়ে গেল। কোথাও কি বিদ্যুৎ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে? কার সময়?
তিনি বলেন, আজকে যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকত, বিশ্বকাপে কত যে বিদ্যুৎ নিয়ে ভাঙচুর হতো! বিএনপির সময় মানুষ একটা বিশ্বকাপও ঠিক মতো দেখতে পারেনি। লোডশেডিং।
বিএনপি ও এরশাদ আমলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উপরে আল্লাহর রহমত আছে। শেখ হাসিনার উপর মানুষের দোয়া আছে। শেখ হাসিনা যাবে না। সারারাত জেগে যে নেতা মানুষের কথা ভাবে, খাদ্য দ্রব্যের দাম কোথায় কত বাড়ল সে কথা ভাবে, সে নেতাকে হটানো এত সহজ নয়।
বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ভাগ ভোটও পাবেন না। আসেন না। ইলেকশনে নিজেদের শক্তিটা যাচাই করে দেখেন। সিটি নির্বাচনে গেলেন না। কাউন্সিলররা তো ঠিকই গেলো। তিনি বলেন, কয় দিন পর শুনবো, মনোনয়ন বাণিজ্য শুরু হয়ে গেছে।
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আজকে খবর পাইছেন? বিপুল ভোটে বরিশালে বিজয়ের পথে, বিজয়ের পথে খুলনায়। বিজয়ের খবর। দুই তৃতীয়াংশ কেন্দ্রের ভোট গণনা হয়েছে। ইলেকশন কমিশন বলেছে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে নাকি শেখ হাসিনার সময়ে মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ নেই। বিএনপি বলে, সুজন বলে। তাহলে গাজীপুরে কি হলো? ৫০ পারসেন্ট, ৪০ পারসেন্ট গাইবান্ধার নির্বাচনে৷
কাদের বলেন, আগ্রহ নেই? আপনারা নাই বলে ভোটার আসবে না, এই দুঃস্বপ্ন দেখে ফখরুল সাহেব লাভ নেই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে লাফালাফি করতে করতে শেষ! এই বুঝি সরকার পড়ে গেল! এত সোজা? চিন্তা করবেন না। আছি আমরা। শেখ হাসিনা আছেন।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লাসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় এবং মহানগরের নেতারা।