দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাউকে আহ্বান করার সুযোগ নাই বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, এটা আওয়ামী লীগের বাড়ির দাওয়াত নয় যে, ডেকে এনে খাওয়াব। আলোচনার জন্য কাউকে বলা হয় নাই, কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই।
বুধবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ছয় ৬ দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
এদিকে, মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৪ দল আয়োজিত জনসভায় তিনি বলেছিলেন, সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সঙ্গে যেকোনো আলোচনা হতে পারে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে। আর একদিন পরেই আমু বললেন, কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই।
৬ দফা দিবস আন্দোলনের সময়ও নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে আলোচনা সভায় স্মরণ করিয়ে দেন বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, আজও যেসব ষড়যন্ত্র তখনও তা হয়েছিল। নির্বাচনের বিরুদ্ধে বক্তব্য এসেছিল। ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে কোনো নির্বাচন করা যাবে না। কেউ বলেছিল, ভোটের বাক্সে লাথি মারো, ভোটের আগে ভাত চাই। কেউ বলেছিল, এলওফোর আন্ডারে নির্বাচন করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু পরিষ্কার বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আমি প্রমাণ করতে চাই, বাংলার মানুষের পক্ষে কথা বলার অধিকার কার আছে? বাংলার মানুষ কী চায়? ৬ দফাকে রেফারেন্ড হিসেবে ঘোষণা করে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পান। আর এর মধ্য দিয়েই প্রমাণ হয়, বাংলার মানুষের প্রাণের দাবি একমাত্র ৬ দফা। এবং ৬ দফার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে আসে স্বাধীনতা।
আমু বলেন, আজও সেই ষড়যন্ত্র নির্বাচন নিয়ে। এটা শুরু ২০১৩ সাল থেকে। সেই নির্বাচনে তখন জাতিসংঘ থেকে তারানকোকে আনা হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা প্রমাণ করেছিলাম, যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। একটি দেশের জন্য সাংবিধানিক শূন্যতা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে নাই। তাই সেদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এবং ধারাবাহিকভাবে সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে বাংলাদেশেকে একটি জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছেন।
দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন।