গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজয় মেনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে ইভিএমে কিছু ত্রুটির কারণে অনেক মানুষ ভোট দিতে পারেননি। তারপরও আমি ফলাফল মেনে নিয়েছি।
শুক্রবার (২৬ মে) নির্বাচন-পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে আমার রেজাল্ট যা হয়েছে তা মেনে নিয়েছি। পাশাপাশি যিনি মেয়র হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন, তাকে অভিনন্দন জানাই।
জাহাঙ্গীরকে ইঙ্গিত করে আজমত উল্লা খান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে একটি প্রোপাগান্ডা ছিল, কিন্তু আমি নির্বাচনের রায় মেনে নিয়েছি। কিন্তু এটা যদি অন্য কারও বিপক্ষে যেত, তিনি কী সেটা মেনে নিতেন? এখন তিনি বলবেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, কারণ তিনি জয়ী হয়েছেন। কিন্তু আমি একটা নীতি মেইনটেইন করে চলি, আমি একটি নৈতিকতা অনুসরণ করি। রেজাল্ট আমার বিপক্ষে গেলেই যে বলব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, এটা ঠিক না। এই কালচার থেকে জাতিকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পরাজয়ের কারণ জানতে চেয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লা খান বলেন, যেহেতু আমি দলীয় প্রার্থী ছিলাম, সেহেতু দলীয় কিছু বিষয় আছে। সেগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে পরে মতামত দেব।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। তৃতীয় হওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট পেয়েছেন।