গাজীপুরসহ সব সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা দেখিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সব কয়টি সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কেউ আসুক বা না আসুক একই ধারা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও থাকবে। এই নির্বাচনে বাধা দিতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চায় সংঘাত, অস্থিতিশীলতা, অশান্তি ও রক্তপাত। আর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আওয়ামী লীগ চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। আমরা নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনে আহবান করা হবে। কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা দেখিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের বিজয় কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না জেনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারা করছে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্যদিয়ে বিএনপি বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তন বানাতে চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি অবাক হলাম, বাংলাদেশের মানুষ অবাক হলো, হুমকি দিল দুই দিন চলে গেল মির্জা ফখরুল ও বিএনপির সিনিয়র নেতা একটা কথাও বললেন না। সবাই নিরব দর্শক হয়ে আছেন।
তিনি বলেন, আমরা সংঘাতে যাব না, কেউ যদি গায়ে পরে আসে আমরা কি চুপ থাকবো? আমাদের ওপর যদি আঘাত আসে, আমরা কি পাল্টা আঘাত করব না? এই অপশক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিচ্যুত করতে হবে এবং এটাই আমাদের কাজ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশনে মাঠে নেমেছে বিএনপি। এটাই তাদের এক দফা। ১৪ বছরে জনগণের সাড়া না পেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের পথে নেমেছে বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কর্মীদের অনুভূতি গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের মানুষ বুঝেছে। ৭৫ আর ২০২৩ এক নয়। বিএনপির এটা অনুধাবন করা উচিত। সারাদেশ গর্জে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা হলে কী করবে! আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপচাপ বসে থাকবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির প্রমুখ।