বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহে শনিবার দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের স্লোগানে মুখর সমাবেশস্থল।
এদিকে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সমাবেশে আসতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন। সমাবেশের আগের রাতে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে এসেই নিচে খড় বিছিয়ে গায়ে পাতলা কম্বল জড়িয়ে শুয়ে পড়েছেন ক্লান্ত অনেকেই।
সমাবেশ মাঠে শুয়ে থাকা পঞ্চগড় থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ওয়াদুদ বলেন, ভেঙে ভেঙে এসেছি। সৈয়দপুর পর্যন্ত কোনো গাড়ি নিয়ে আসেনি। একটা সিএনজি পেলেও সেটি বেশি দূর আসেনি। ২০ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে এসেছি। এসে এখানে শুয়ে পড়ছি।
কুড়িগ্রাম থেকে আসা যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, কালকের সমাবেশ থেকে সরকার পতনের যাত্রা শুরু হবে। এখানে তেমন কোনো আত্মীয় নেই থাকার মতো। তাই আসার সময় খড় আর একটা কম্বল নিয়ে আসছি। রাতটা এখানেই কাটিয়ে দিব।
তাদের মতো অনেকে মাইলের পর মাইল হেঁটে, কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি, কেউ রিকশা, কেউ বা অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে সমাবেশস্থলের দিকে ছুটছেন।
দ্রব্যমূল্য, লোডশেডিং, দুর্নীতি, লুটপাট, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ নয়টি দাবিতে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে তারা।
সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ায় এখন আমাদের সমাবেশ ২ দিন হচ্ছে। শুক্রবার থেকেই সমাবেশ শুরু হয়ে গেছে। এ সময় তিনি কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়ক ও দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।