তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমর নায়ক। মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদেরিয়া বাহিনী গঠন করে পরিচিত হন ‘বাঘা কাদের’ নামে। পেয়েছিলেন বঙ্গবীর উপাধি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বাইরে যে জাতীয় ঐক্য গড়ার চেষ্টা- সে বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি সব সময় বলেছি ড. কামাল ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী যেখানে আমি নিঃশর্তভাবে সেখানে। তবে আমাকে বুঝতে হবে যে তারা কতখানি একখানে। আমি জাতির কোন ক্ষতি করতে চাই না। আমাদের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেখানে আমি বলেছি, শেখ হাসিনার পতনের জন্য আমরা কোন আন্দোলনে যাচ্ছি না।
‘আমরা একটা সুষ্ঠু স্বাভাবিক বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তাই করতে চাই। কে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, কে করবেন না এটা আমাদের দেখবার বিষয় না। নির্বাচন সুষ্ঠু, স্বাভাবিক, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য হলে আমরা তাতে অংশগ্রহণ করবো।’
জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিনের বলে জানান কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের প্রচেষ্টা কিন্তু আজকের কথা না। দীর্ঘদিনের চেষ্টা। এখানে প্রশ্নটা হলো, এই ঐক্যের প্রচেষ্টা যদি শুধুমাত্র শেখ হাসিনাকে লাঞ্ছিত করা, অপমানিত করা, তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্যে হয় সেই কাজে আমি সাড়া দিতে পারবো না। আমি চাই, তার সরকার ঠিক চলুক, রাজনৈতিক ভারসাম্য থাকুক।’
আসন বন্টন ও ক্ষমতার ভাগাভাগি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় কতটা প্রভাব ফেলতে পারে?- এ বিষয়ে এ রাজনীতিবিদ বলেন, সবকিছুই প্রভাব ফেলে, সবকিছুই বাধা দেয়, আবার বাধা দূরও হয়। কিন্তু জাতীয় ঐক্য সিট ভাগাভাগির বিষয় নয়। দুই বছর ক্ষমতায় থাকবো, তিন বছর ক্ষমতায় থাকবো এটা না করে,জাতি যে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে-এটা অতিক্রমের চিন্তাটা মাথায় রেখে কাজ করতে পারলে ভালো হবে।