চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মাসেরও অধিক সময় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রাখা প্রসঙ্গে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যে মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল, সেই মামলায় তিনি জামিনে আছেন।’
‘অর্থাৎ, খালেদা জিয়াকে এখন বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।'
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, তাকে (খালেদা জিয়া) পরিকল্পিতভাবে কারাগারে রেখে নির্যাতন করছেন সরকার প্রধান। পরিত্যক্ত কারাগারে তাকে যে কক্ষটি দেওয়া হয়েছে তা বাসযোগ্য নয়। খালেদা জিয়া যাতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নির্বিঘ্নে বাস করতে না পারেন, যেন সারাক্ষণ কষ্ট পান সেজন্য এ ব্যবস্থা।
'জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম বিশেষ আদালত বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনে স্থানান্তর করে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।'
পরের দিন বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নং কক্ষে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করেন বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
আদালতের স্থান পরিবর্তন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার প্রধানের অদম্য প্রতিহিংসা দ্রুত চরিতার্থ করার জন্য আদালত স্থানান্তরের এই অসাংবিধানিক ন্যাক্কারজনক কাজটি করা হয়েছে।
'সরকার আইনকানুনের কোনো ধার ধারছেন না। আদালতকে বন্দি করা হয়েছে কারাগারে। যেমন দেশের বিপুল জনসমর্থিত নেত্রীকে কারাগারে আটকে রেখে গণতন্ত্রকেই বন্দী করে রাখা।'
তিনি বলেন, এর পেছনে সরকারের উদ্দেশ্য দু’টি। একের পর এক মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে সাজার স্তুপ বৃদ্ধি করা, দিনের পর দিন আটকে রেখে শারিরীক অসুস্থতার আরও অবনতি ঘটিয়ে তাকে বিপর্যস্ত করা।
রিজভী আরও বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকলেও তাকে জোর করে হলেও আদালতে নিয়ে আসতে হবে এই ধরণের আক্রোশের মনোবৃত্তি ফুটে ওঠে আইনি কার্যক্রমে।
বার বার অসুস্থতার কথা বললেও খালেদা জিয়াকে জোর করে আদালতে হাজির করা হয়েছে জানিয়ে তার ওপর সরকারের এই বেআইনি অসদাচারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।