স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে ফের বির্তক শুরু করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা। এর আগে দুই দিন সংসদে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে বক্তৃতা শুরু করেন।
তাদের সেই বক্তব্যের জবাবে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কোনো দিন এই বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, এ রকম কোনো প্রমাণ যদি ওই সদস্যরা এই সংসদে হাজির করতে পারেন, তাহলে আমি এই সংসদ থেকে পদত্যাগ করব।’
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন তিনি।
বরাবরের মত এবারও বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার সূচনা করেন তিনি। এর আগে বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এবারের সংসদে আরো একটি বিরোধী দল যুক্ত হয়েছে। বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য আছেন। উনারা সবাই বক্তৃতার শুরুতে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো- বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং ঘোষণায়ই দেশ স্বাধীন হয়েছে। জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কোনো দিন এই বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, এ রকম কোনো প্রমাণ যদি ওই সদস্যরা এই সংসদে হাজির করতে পারেন, তাহলে আমি এই সংসদ থেকে পদত্যাগ করব।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘উনারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান। মুক্তি চাইতেই পারেন। খালেদা জিয়া কী কারণে জেলে গেছেন তা দেশের সবাই জানেন। এই নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি হবে না। এই নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি টিকে থাকবে না। এগুলো বদলান। যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেন, যাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে, সে রকম কাউকে দিয়ে যদি দল পুনর্গঠন করার চেষ্টা করেন, তাহলে আগামীতে দল টিকিয়ে রাখার পথ খুঁজে পাবেন।’
সংসদের বৈধতা নিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংসদ অবৈধ হলে সংসদে এলেন কেন? আপনি বৈধ হলেন, আর ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবৈধ হলেন কীভাবে? আসল বিষয় সেটা না, তারেক রহমান ব্যবসাটা ঠিক মত করতে পারেননি বলে এই ভরাডুবি। বগুড়ার উপনির্বাচনে তারেক রহমান ১০ কোটি টাকা নিয়ে সিরাজকে মনোনয়ন দিয়েছেন।’
‘আপনারা খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলছেন। তার মুক্তি সংসদ বা রাজনীতির বিষয় নয়। এটা দুর্নীতির বিষয়। আরেকজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে বসে আছেন। দুর্নীতির দায়ে যার সাজা হয়েছে। নেতাগিরি করতে হলে দেশে আসতে বলেন, কোর্টকে ফেস করতে বলেন। এই রকম অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দলের নেতা বানালে সেই দল চালানোর দিন শেষ হয়ে গেছে। সব বাদ দিয়ে ইতিবাচক রাজনীতিতে আসতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।