রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকদের দাবি আমলে নিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আগামী ১৭ মে’র মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে ১৮ মে’র মধ্যে মজুরি স্লিপ শ্রমিকদের হাতে তুলে দিতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সেক্টর সমূহে নতুন পে-স্কেল কার্যকারিতার বিষয়ে অগ্রগতি, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সমূহে কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা বকেয়াদি ও নৌ-সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
পুরান ঢাকায় সংঘঠিত দুর্ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত গঠিত কমিটির প্রতিবেদন কার্যপরিধি অনুযায়ী সঠিক হয়নি বিধায় একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রদানের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ঢাকায় অবস্থিত তিনটি আদালতের মধ্য থেকে একটি শ্রম আদালত শ্রমঘন শিল্প এলাকা গাজীপুর জেলায় স্থানান্তরের সুপারিশ করা হয়।
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল হতে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিভাবে কর্মরত শ্রমিকদের অনুদান প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে মো.ইসরাফিল আলমকে আহ্বায়ক করে মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বেগম শামসুন নাহারকে সদস্য করে আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া মজুরি ও পাট ক্রয়ের টাকাসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ১৫ এপ্রিল ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘটে নামেন পাটকল শ্রমিকরা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কতগুলো প্রকল্প আছে, প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও প্রকল্পের পরিচালকদের বৈঠকে উপস্থিতসহ একটি প্রতিবেদন প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, মো. কামরুল ইসলাম ও মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।