‘ছুটি উৎসবের জন্য নয়, বাসায় থাকার জন্য’

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপেন্ডেন্ট, | 2023-08-24 00:35:22

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটি উৎসবের জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

তিনি বলেন, এই ছুটি উৎসব করার জন্য নয়, এ ছুটি বাসায় থাকার জন্য দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।

ড. কায়কাউস বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই ছুটি উৎসব করার জন্য নয়, করোনা প্রতিরোধ করার জন্য। এটি কোন উৎসব ভোগের জন্য দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের মূলমন্ত্র— যার যার ঘরে থাকুন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করুন। আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, এর মানে হচ্ছে এই ছুটির মধ্যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বাসায় থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটির সময়ে বাসায় থাকবেন। বেসরকারি সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিও একই আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, অতীব প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই ঘরের বাইরে যাবেন না। জরুরি প্রয়োজনে যদি যেতে হয় – তাহলে স্যানিটাইজেশন ও সকল প্রকার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেই যাবেন। এই নির্দেশনা মানার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।

‘যার যার ঘরে থাকুন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করুন‘ — করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা বিশ্বের মতো সরকার এই নীতি অনুসরণ করছে বলে জানান তিনি।

সরকারের তরফ থেকে ট্রেন, বাস, লঞ্চ বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে ড. কায়কাউস বলেন, যে জায়গায় আছেন আপনারা স্থান ত্যাগ করবেন না। যারা ইতোমধ্যে চলে গেছেন তাদের অনুরোধ করব ঘরের বাইরে যাবেন না। ঘরে থাকার ব্যত্যয় ঘটলে আপনি নিজেকে যেভাবে শঙ্কাযুক্ত করছেন, লাখো মানুষকে শঙ্কায় ফেলার সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, এটি এখন আমাদের জাতীয়ভাবে সবাই একসঙ্গে মোকাবিলার সময় এসেছে। আমরা সবাই একযোগে সেটি মোকাবিলা করবো। আপনারা দয়া করে এর ব্যত্যয় ঘটাবেন না।

জনজীবন যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ওএমএস চালু আছে। সরকারের তরফ থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছে নগদ টাকা এবং খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যখনই প্রয়োজন হয় আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সহায়তা দেওয়া হবে। যখনই কোন প্রয়োজন হবে সরকারের লোকজন বাড়ি বাড়ি যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর