যৌন হয়রানি ও মারধরের অভিযোগে চার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন। এদের মধ্যে একজনকে আজীবন এবং তিনজনকে এক সেমিস্টারের (৬ মাস) জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. নাসির উদ্দিন (আজীবন বহিষ্কার), ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. মোবাশ্বের হোসেন ও মো. শামীম রেজা এবং কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সাফায়াতুল ইসলাম তন্ময়। এ তিনজন এক সেমিস্টার (৬ মাস) পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
রোববার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদীচি সংলগ্ন নদীর পার থেকে জব্বারের মোড়ে আসতে এক ছাত্রীর পিছু নেয় ওই চার শিক্ষার্থী। এসময় তারা অশ্লীল কথাবার্তা বলতে থাকে। ওই ছাত্রী পরে হাসিবুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থীকে বিষয়টি জানায়। এসময় হাসিব যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করে এবং জব্বারের মোড় থেকে ওই ছাত্রীকে রিকশায় করে হলে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় হাসিবের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে ওই চার শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে হোটেলের রান্না করার লাকড়ি দিয়ে আঘাত করা শুরু করে।
পরে হাসিবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। অপরাধমূলক কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউই ছাড় পাবে না। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সতর্ক বার্তা। পরে কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে শাস্তি আরও কঠিন হবে বলেও জানান তিনি।