বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১৪ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গিয়েছেন।
বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মোট ১৬ জনকে বিচ্ছিন্ন (আইসোলেসন) রাখা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে (কোয়ান্টোইন) রয়েছেন ৪২ জন। দেশে নতুন করে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্ত্রের সংখ্যা ১৪ জন।
বিদেশফেরত মানুষদের উদ্দেশে আইইডিসিআর-এর পরিচালক বলেন, ইতোমধ্যে যারা দেশে এসেছেন তারা ১৪ দিন ঘরে থাকুন। একটি নির্দিষ্ট ঘরে থাকুন। পরিবার থেকে দূরে থাকুন। এটা আপনার ও দেশের জন্য প্রয়োজন। এসব না মানলে শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, হটলাইন নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। হটলাইন নম্বর সবসময় ব্যস্ত থাকে বলে অভিযোগ করছেন অনেকেই। আমরা আলোচনা সাপেক্ষে অন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা একটি ই-মেইল ও ফেসবুক পেজ খুলেছি। সেখানে যোগাযোগ করা হলে আমরা তথ্য দেব। এছাড়া একটি অ্যাপস ডেভেলপ করা হচ্ছে। এই তিন পদ্ধতি যারা ব্যবহার করতে পারি তারা হটলাইনে কল করবেন না। যারা এগুলো ব্যবহার করতে পারেন না তাদের হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।
মীরজাদী সেব্রিনা আরও বলেন, কোভিড-১৯ ছোঁয়াচে রোগ, তবে মারাত্মক রোগ নয়। প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলার চেষ্টা করুন। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অসুস্থ অবস্থায় গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন। উচ্চ ঝুঁকি অর্থাৎ বয়স্করা একটু অতিরিক্ত সচেতন থাকুন। বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। হাঁচি-কাশি আছে এমন রোগীদের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
নতুন করে আক্রান্ত চার রোগী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন ৪ জনের একজন নারী, বাকি তিনজন পুরুষ। আক্রান্তদের একজন মারা গেছেন। তার বয়স ৭০ বছর। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া তার কিডনি ও ডায়াবেটিস জনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন।