নামের সাথেই ছিল নিজের কর্মের গভীর মিল। ১৯৯৯ সালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে নিজেকে দক্ষ একজন ভাস্কর হিসেবে গড়ে তোলেন কামরুজ্জামান ভাস্কর।
তবে তার সৃজনশীলতা ও প্রতিভা শুধু ভাস্কর তৈরিতেই নয়, বিকাশ করেছে শিল্পকলার বহুমাত্রিক ক্ষেত্রেও। হাতের কাছে কাগজ কলম পেলেই ফুটিয়ে তোলেন পরিচিত-অপরিচিতদের মুখাবয়ব। তবে বিশেষভাবে অ্যানিমেশনের প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড আগ্রহ।
এই আগ্রহ ও ভালোবাসা থেকেই ১৯৭৬ সালে জন্ম নেওয়া ভাস্কর অবদান রাখেন ‘মীনা’, ‘অ্যান্ট অ্যান্ড দ্য ডাভ’, ‘নাইট অব দ্য পাম্পকিন’, ‘দ্য পিঙ্ক ডায়মন্ড এনিগমা’, ‘দ্য থ্রি গোল্ড কয়েন’সহ বহু অ্যানিমেশন চিত্রে। নিজের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পর্যায়ে পেয়েছেন সম্মাননা পুরস্কার।
২০১২ সালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কিডনি জটিলতা শনাক্তকরণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গুণী এই শিল্পীর কঠিন সময়ের যাত্রা। সময় গড়ানোর সাথে ক্রমেই তার স্বাস্থ্য অবনতি দেখা দিতে থাকে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয় তাকে। বর্তমানে প্রতি তিন দিন পরপর ডায়ালাইসিসের মতো কষ্টকর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। যার একমাত্র বিকল্প কিডনি প্রতিস্থাপন।
অতি দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপনই পারে গুণী ও প্রতিভাবান এই শিল্পীকে বাঁচাতে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে নিজের চিকিৎসা ও আনুসাঙ্গিক বিষয়ের ব্যয় বহন করার মত তার আর্থিক অবস্থা নেই।
দুইটি ভিন্ন উপায়ে সহায়তা করা যাবে কামরুজ্জামান ভাস্করকে। সরাসরি আর্থিক সহায়তার জন্য-
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ভাস্কর
অ্যাকাউন্ট নং: ১০১৭৪৫১৫০৪০৩১
আইএফআইসি ব্যাংক
সুইফট কোড: IFICBDDH017
এছাড়া অর্থ সংগ্রহের জন্য শিল্পকর্ম দিয়েও সহায়তা করা যাবে। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে-
তারানা হালিম (০১৬৭৬৯৯২৪৫৫) এই নাম্বারে।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সাহায্যের হাতই পারে কৃতী এই শিল্পীকে একটি সুস্থ জীবনের নাগাল এনে দিতে।