প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি মানুষের জীবন যেন অর্থবহ হয়, সেটি মাথায় রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করেই পরিকল্পনামতো এগিয়ে যাচ্ছি।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশকে গড়ে তুলতে হলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কমিটমেন্ট থাকা দরকার, পাশাপাশি একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা থাকলেই দেশ উন্নত হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৩ থেকে ৭৮ পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। আমরা ২১ বছর পর সরকার গঠন করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করি। ষষ্ঠ শেষ করে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। এক্ষেত্রে উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ, তাই আমরা ডেল্টা প্ল্যান ২০১০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজও শুরু করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের নদীগুলো ড্রেজিং করে নাব্যতা বাড়াতে হবে। এতে বন্যার হাত থেকে আমরা মুক্তি পাবো। নদীতে নাব্যতা থাকলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ হবে। এছাড়া ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অনেক ভূমিও উদ্ধার করা যাবে। উদ্ধারকৃত ভূমি আমরা কৃষিকাজসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলেই ২০২৪ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে আমাদের অবস্থান হবে।
উন্নয়ন সহযোগীরা দেশের উন্নয়ন কাজে এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।