আইন ভঙ্গ করলে বিদেশি নৌযানকে দণ্ড-জরিমানা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 21:53:51

বিদেশি নৌযান মৎস্য আহরণে আইন ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯’-এ মোট ১২টি অধ্যায় ও ৬৩টি ধারা আছে। ধারা ২-এ অনুমতিপত্র, আর্টিসানাল নৌযান, বাণিজ্যিক ট্রলার, সমুদ্রযাত্রার নতুন সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ আইন বলে অবৈধ, অনুল্লিখিত এবং অ-নিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করতে পারবে (ধারা-৫) এবং ব্লু-ইকোনোমির প্রসারে সরকার মেরিকালচার এলাকা ঘোষণা করতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, লাইসেন্স বা অনুমতিপত্র ছাড়া সমুদ্রে মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে পরিচালককে লাইসেন্স ও অনুমতিপত্র ইস্যুর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে (ধারা ৭, ৮ ও ২১)। বাণিজ্যিক ট্রলার আমদানি করার বা স্থানীয়ভাবে তৈরিতে সরকার অনুমোদিত নমুনা অনুসরণ ইত্যাদির বিধান (ধারা ২০) অন্তর্ভুক্ত আছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কতিপয় কাজকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে অপরাধের জন্য অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে (ধারা ২৪ ও ২৫)। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা দান, মৎস্য নৌযান, ইত্যাদির ক্ষতিসাধন, প্রমাণাদি ধ্বংস ইত্যাদি অপরাধ বিষয়ে দণ্ড যৌক্তিক পরিমাণে বৃদ্ধি করে অনধিক দুই বৎসরের কারাদণ্ড বা অপরাধ ভেদে ১০ লাখ টাকা এবং অনধিক ২৫ লাখ টাকা আর্থিক দণ্ডের বিধান করা হয়েছে (ধারা ৪৬ থেকে ৫১ পর্যন্ত)।

উল্লেখ, অধ্যাদেশে শাস্তির মেয়াদ অনধিক তিন বৎসর এবং জরিমানা পাঁচ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়ে ও এলাকায় মৎস্য আহরণ, সমুদ্র যাত্রার অনুমতি ব্যতীত মৎস্য আহরণ, আগমনী বার্তা প্রদান না করার অপরাধের দায়ে আহরিত মাছের মূল্যের সমপরিমাণ এবং তিন গুণ পরিমান প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা যাবে।

এছাড়া অপরাধ সংঘটনের সহায়তা ও পুনঃসংঘটনের জন্য দণ্ডের বিধান আছে। অপরাধ বিচারের ক্ষমতা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোবাইল কোর্টের এখতিয়ারাধীন রাখা হয়েছে (ধারা ৫৬ ও ৫৮)। প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ, এর টেকসই মজুদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্য খাতে ব্লু-ইকোনমির সর্বাধিক উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এ সম্পর্কিত আরও খবর