‘বাজেটের মুখে এসে মতবিনিময় তেমন কাজে আসে না’

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 18:03:51

এপ্রিল-মে মাসে বাজেটের ওপর স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়া হয়, তখন বাজেটের ড্রাফট প্রায় চূড়ান্ত। এসময় সুপারিশ বাস্তবায়ন করার সুযোগ খুব একটা থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের উপ-পরিচালক আশিক ইকবাল।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে সেভ দ্য চিলড্রেন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

আশিক ইকবাল বলেন, এই মতবিনিময় কার্যক্রম যদি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে করা যায় তাহলে এটি প্রতিফলিত হওয়ার সুযোগ থাকে। একইভাবে শিশুদের মতামতও নেয়া যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নেয়ায় বাজেট সংশোধন করার সুযোগ থাকে না। যে কারণে খুব একটা কাজে আসে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাজেট নিয়ে শিশুদের মতামত নেয়া একটি ভালো উদ্যোগ। বিশ্বের কোথাও এমন আছে কি না তা আমার জানা নেই।

আশিক ইকবাল বলেন, হতাশার কথা হচ্ছে শিশু সংশ্লিষ্ট বাজেটের বাস্তবায়নের হার খুবই কম। গত বছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯২ শতাংশ। সেখানে শিশু সংশ্লিষ্ট খাতের ত্রিশটি প্রকল্প বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাস্তবায়নের হার মাত্র ৮৭.৫ শতাংশ। এই চিত্র কোনভাবেই আশার সঞ্চার করে না। এতে করে রিভাইস বাজেটে এসব খাতের অর্থ অন্য খাতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এই সূচক বলা চলে ধারাবাহিকভাবেই হতাশাজনক।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পরিচালক (চাইল্ড রাইটস গভর্নেন্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রটেকশন) আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, বাজেটতো হচ্ছে। কিন্তু সেই বাজেট কিভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে, কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটাই আমাদের মনোযোগের বিষয় ছিল। আমরা দেখেছি ১৭-১৮ অর্থ বছরের চেয়ে ১৮-১৯ অর্থ বছরে বাজেটে (মোট বাজেট) বরাদ্দ বেড়েছে ১.৩ শতাংশ হারে। এটা আশার কথা। তবে পাশাপাশি সামাজিক খাতগুলোতে বরাদ্দ কমেছে। কিন্তু এডিপি বাস্তায়বনে পিছিয়ে পড়াটা হতাশার কথা।

এ থেকে দু’টি বিষয় সামনে চলে আসে। একটি হচ্ছে বিষয়টি সিরিয়াসলি নেয়া হচ্ছে না। আরেকটি হতে পারে সক্ষমতার জায়গায় ঘাটতি রয়েছে। এই দু’টি জায়গায় মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন আব্দুল্লা আল মামুন।

তিনি বলেন, এডিপি প্রথম কোয়ার্টারে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মাত্র ৩ শতাংশ অগ্রগতি হচ্ছে। দ্বিতীয় কোর‌্যাটারে ২৯ শতাংশ, তৃতীয় কোয়ার্টারে ২৬ শতাংশ এবং শেষ কোয়ার্টারে (এপ্রিল-জুন) ৪২ শতাংশ বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতি বছরেই এমন হতাশার চিত্র দেখা যাচ্ছে। এতে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। সেই সঙ্গে এসব খাতে বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অন্যথায় শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত গঠন করা কঠিন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংস্থাটির পরিচালক (চাইল্ড রাইটস গভর্নেন্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রটেকশন) ফাইজা আনসারী, পরিচালক (হিউম্যান রিসোর্স এন্ড আইসিটি) মোশতাক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর