রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে বাংলাদেশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-12 09:11:20

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে বাংলাদেশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছেন, রোম সনদ, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী হওয়ায় এ ক্ষেত্রে সব রকম সহযোগিতা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে 'বাংলাদেশ গণহত্যা ও বিচার বিষয়ক ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে। রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে মামলা করার জন্য গাম্বিয়াকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ।

এ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের ভেতরেই সৃষ্টি হয়েছে। এ সংকট কয়েক দশক ধরে সৃষ্টি করা হয়েছে, যার সমাধান একমাত্র রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ, সম্মানজনক, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই সম্ভব।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে গণহত্যার শিকার ভুক্তভোগী হিসেবে সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সংকল্প নিয়েছে বাংলাদেশ। এ মূলনীতিকে সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা থেকে বাঁচাতে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে পুরো বিষয়টিকে টেকসই করতে তাদের নাগরিকত্বসহ সব অধিকার, ভূমি ফিরিয়ে দেওয়া এবং জীবিকার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন আরো বলেন, বাঙালি জাতি ভাগ্যবান, কারণ বঙ্গবন্ধুর মত একজন মহান নেতাকে পেয়েছিল। যার নেতৃত্বে লাখো মানুষের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যরা একাত্তরে এমন কোনো ভয়াবহ অপরাধ নেই, যা করেনি। খুন, ধর্ষণ, গণহত্যা, দেশান্তরিত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন থেকে শুরু করে সব ধরনের পৈশাচিকতা চালিয়েছে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা। তবে সবচেয়ে বীভৎস দিকটি হলো গণহত্যা ও ধর্ষণ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর