গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংসদীয় কূটনীতি একটি নতুন মাত্রা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত বলেই সংসদীয় কূটনীতি আরও জোরদার হতে পারে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে ঢাকা গ্লোবাল ডাইলগ-১৯ এর দ্বিতীয় দিনে ‘পার্লামেন্টরি ডিপ্লোমেসির ভবিষ্যৎ’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বিশ্বায়নের ফলে সারা দুনিয়ায় যে সংকট দেখা দিয়েছে তার মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট একটি বড় বিষয়। এ ক্ষেত্রে সাম্য হচ্ছে না।
বিশ্ব উষ্ণতাতে বাংলাদেশ দায়ী না হলেও এর অন্যতম ভুক্তভোগী। সংসদ সদস্যদের বা জনপ্রতিনিধিদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল জনগণের কল্যাণ সাধন। সংসদে সংকট সমাধানে এ বিষয়গুলো উত্থাপিত করা প্রয়োজন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কার্য সম্পাদন করে। সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়ন করেন এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করে থাকেন। নির্বাহী বিভাগ সংসদের কাছে জবাবদিহি করে থাকে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে সরকারের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।