ঘাসের মাথায় জ্বল জ্বল করা শিশির কণা জানান দিচ্ছে শীত পড়তে শুরু করেছে। আর শীতকে ঘিরে ছোট ছোট মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরা পার করছে ব্যস্ত সময়। রাস্তার পাশে, পাড়া মহল্লায় কয়েকটি চুলা নিয়ে অস্থায়ী ব্যবসা শুরু করেছে তারা।
সাধারণত সেখানে চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা ও ডিম ভাপা পিঠা বিক্রি করা হয়। আর এসব পিঠা কিনতে দোকানে ভিড় করছে নিম্ন, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন।
সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন পিঠার দোকান ঘুরে জানা যায়, পুরোপুরিভাবে শীত না পড়লেও পিঠা বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে। লাইন দিয়ে পিঠা কিনতে দেখা গেছে অনেক দোকানেই।
সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় পিঠা ক্রেতা সুমন বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৪টি চিতই ও কিছু ভাপা পিঠা কিনেছেন। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'আমি গার্মেন্টসে কাজ করি। বাসার জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছি। তবে শীতের সময় ছাড়া পিঠার দোকান বসে না।'
অপর পিঠা ক্রেতা জলিল হোসেন দোকানে বসেই একের পর এক পিঠা খাচ্ছেন। তিনি বলেন, 'পিঠা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটা অংশ। কাজের চাপে বাসায় পিঠা তৈরির সুযোগ হয় না। তাই রাস্তার মোড় ও ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে পিঠা কিনে খাই এবং বাসায় নিয়ে যাই।'
পিঠা বিক্রেতা হাসিনা বানু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সকাল থেকেই শুরু হয় পিঠা তৈরির জন্য বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহের কাজ। চালের গুঁড়া, বিভিন্ন পদের ভর্তা, লাকড়ি, গুড় কিনে তা প্রক্রিয়া করতেই বিকেল হয়ে যায়। আর বিকেল থেকেই শুরু করি পিঠা বানানোর কাজ। শীত পুরোপুরি ভাবে না নামলেও ব্যবসা জমে উঠেছে।’
নবীনগর এলাকার পিঠা বিক্রেতা তানিয়া জানান, অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসা করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছে অনেক পিঠা ব্যবসায়ী।