বিশ্বব্যাংক কখনো কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে না বরং বিশ্বব্যাংক তার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গেই কাজ করে। মিয়ানমারও বিশ্বব্যাংকের স্টেক হোল্ডার। তাই তারা যদি আগ্রহী হন তবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে বিশ্বব্যাংকের কোন দ্বিধা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক প্যটারিজিও পাগানো।
তিনি বলেন, আমরা কারো দরজায় গিয়ে টোকা দেই না। সবার জন্য আমাদের দরজা উন্মুক্ত। যাদের সহায়তা প্রয়োজন তারাই আমাদের কাছে আসতে পারে। যদি মিয়ানমারের সরকার আসে তাহলে আমরাও তাদেরকে অর্থ অনুদান কিংবা ঋণ দিতে আগ্রহী।
রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ‘বিশ্বব্যাংক কর্তৃক মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো সম্ভবনা আছে কিনা’ জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিফিংয়ের আগে প্রতিনিধি দলটি অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে পাগানো বলেন, বিশ্বব্যাংক এখানে আছে সমস্যা সমাধানের জন্য। সমাধান হতে পারে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তার মধ্যদিয়ে। আমরা এখানে কোনো রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে আসিনি। এটা আমাদের লক্ষ্য নয়। রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করার জন্য জাতিসংঘের মত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ব্যাংক সবসময় সমস্যা সমাধানে কাজ করে। সেটা হতে পারে কৌশলগত দিক থেকে অথবা অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে। আমরা এখানে এসেছি সহায়তার জন্য। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। যেটা এখানকার মানুষের জন্য উপকারী হবে।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১০ শতাংশ জিডিপি অর্জনের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রা অর্থমন্ত্রী নির্ধারণ করেছেন সেটা খুবই চমকপ্রদ। আর সেটি অর্জন করতে হলে অর্থনৈতিক খাতে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি।
বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি দেশ হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব ব্যাংকের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, দারিদ্র দূরীকরণ বাংলাদেশের ভূমিকা অসাধরণ। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যে উন্নতি সাধন করেছে তাদের অর্জনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভুটান) মার্সি টেম্বন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম,অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদসহ আরো অনেকে।