ট্রাভেল ভিসার আবেদন করতে পারবে খোকার পরিবার

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-30 15:52:14

ক্যানসারে আক্রান্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার সুস্থ হওয়ার আশা অনেকটাই ছেড়ে দিয়েছেন ডাক্তাররা। বর্তমানে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হলেও ক্যানসারের চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাদেক হোসেন খোকাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চলছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) পরিবারের পক্ষ থেকে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন জানানো হয়।

আরও পড়ুন: দেশের মাটিতে ফিরতে চান বাবা

কিন্তু নিউইয়র্কে খোকার পরিবার একমাত্র ট্রাভেল ভিসার জন্য আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমনটা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘নিউইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার পরিবার 'ট্রাভেল পারমিট' এর জন্য আবেদন করলে আমাদের মিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি (খোকা) এবং তার স্ত্রীর যেহেতু পাসপোর্ট নেই সেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে অন্য দেশ থেকে নিজের দেশে ফেরার এটাই একমাত্র ব্যবস্থা। আমি আমাদের নিউইয়র্কের কনস্যুলেটে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘তিনি (খোকা) এবং তার স্ত্রীর নামে মামলা আছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও থাকতে পারে (আমি নিশ্চিত নই)। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছি, তাদের আগমনের পর বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে।’

আরও পড়ুন: খোকার দেশে ফেরার ব্যবস্থা সরকারের করা উচিত: ফখরুল

গত ১৮ অক্টোবর সকালে খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাকে নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়েন ক্যাটারিং ক্যানসার ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ২৮ অক্টোবর তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুর খবরও চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। তবে তা গুজব ছাড়া কিছুই নয় বলে জানিয়েছে পরিবার।

২০১৪ সালের ১৪ মে মাসে সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যান। সেখানে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে দেশে কয়েকটি দুর্নীতি মামলা হয়। এ সব মালার কয়েকটিতে সাজাও দেয় আদালত।

সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্ক আসার পর তার স্ত্রী ইসমত আরার পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার উপক্রম হলে বিগত ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য কনস্যুলেটের নির্ধারিত ফি জমা দেয়া হয় (রিসিট নং ৩৯৮৩৫৩৮, বুক নং ০৩৯৮৩৬)।

ইসমত আরার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নং এসি ১২৫০৯৬৯। অনুরূপভাবে সাদেক হোসেন খোকার পাসপোর্টও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার উপক্রম হলে বিগত একই বছরের ১৩ এপ্রিল পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য কনস্যুলেটের নির্ধারিত ফি জমা দেয়া হয় (রিসিট নং ৪২৪৯৩৩০, বুক নং ০৪২৪৯৪)। আর সাদেক হোসেন খোকার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নং এসি৬৮৩২৩৯৩। কিন্তু কনস্যুলেট থেকে তাদের পাসপোর্ট আর ফেরত দেয়া হয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর