নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হওয়ার পর রোববার (৩ নভেম্বর) প্রথম কার্যদিবস। ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহ নতুন আইন কার্যকর হবে না। তবুও সড়কে গণপরিবহন কম লক্ষ্য করা গেছে। এখন প্রশ্ন হলো, কোনো চাপা আতঙ্কেই কি সড়কে গণপরিবহন কম নেমেছে?
রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর আসাদগেট, খামারবাড়ি, বিজয় সরণি এলাকা ঘুরে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাভাবিক কার্যদিবসে সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি থাকলেও আজ সড়কে অনেকটাই শৃঙ্খলা ফিরেছে। তবে তার চেয়ে বেশি চোখে পড়ছে গণপরিবহনের স্বল্পতা। কেননা যেসব স্টপেজে গাড়ি থামে, সেসব স্টপেজে এখন যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক বেশি। অনেক সময় পর পর গাড়ি আসছে।
মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল রুটে চলা এফটিসিএল, মৈত্রী, রাজা সিটি পরিবহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিবহনের অভ্যন্তরীণ কারণে আজ সড়কে গাড়ি কিছুটা কম।
এফটিসিএল এর চালক নুর মোহাম্মদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'নতুন আইনের নামে যে অভিযান চলছে, তাতে সড়কে গাড়ি নামানো ঠিক হবে না। তাই মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাগজপত্র ঠিক না থাকলে সড়কে গাড়ি নামবে না।'
এদিকে গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের দাবি, গাড়ির স্বল্পতার কারণে সাময়িক অসুবিধা হলেও কিছুদিন পর বিকল্প ব্যবস্থা বের হয়ে যাবে। তারপরও তারা সড়কে শৃঙ্খলা চান।
অন্যদিকে নতুন এই আইনে সব ধারায় আগের চেয়ে সাজা বাড়ানো হয়েছে। এতে পেশাদার-অপেশাদার চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। নতুন সড়ক পরিবহন আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর শাস্তির বিধান রাখা রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, 'দণ্ডবিধির ৩০৪-বি ধারায় যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত বা নিহত হলে চালক সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।