বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘণ্টার ব্যবধানে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েই চলেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় হয়ে পশ্চিম পাড় দিয়ে মহাসড়কটি চলে যায় উত্তরবঙ্গের দিকে। এখানে ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত যানজট লক্ষ্য করা যায়নি। তাই উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রীদের আতঙ্কের স্থান যমুনা সেতুর এই দু’পাড় ফাঁকা বললেই চলে!
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রাকগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে যমুনা সেতুর দু’পাড় ফাঁকা থাকবে। পোহাতে হবে না দুর্ভোগ বা ভোগান্তি।
শনিবার (১ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর পূর্ব অংশ অর্থাৎ টাঙ্গাইল জেলার ও সেতুর পশ্চিম অংশ সিরাজগঞ্জ জেলার সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সাধারণত ঈদে পরিবহনের যে চাপ থাকে, তা মনে হচ্ছে না। তবে ট্রাকের চাপ বাড়লে হঠাৎ কয়েক মিনিটের জন্য গাড়ি স্থির হয়ে থাকে। এটা যানবাহনের চাপ, কিন্ত যানজট নয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদে পরিবহনের চাপ শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনো যানজট হয়নি। আমি যদি পশ্চিম পাড়ের কথা বলি। তবে মাঝে মাঝে যখন পণ্যবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার গাড়ি একযোগে সেতু পারাপার হয়, তখন কিছুটা চাপ বেড়ে যায়। যদি ট্রাকের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাহলে এই যানজটের প্রভাব পড়বে না বলে আমরা মনে করছি।’
একই কথা বলছেন ঢাকা-রংপুর-ঢাকা রুটের পরিবহন চালক মশিউর রহমান। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এবার যানজট এখন পর্যন্ত নেই। তিন দিন ধরে ঈদের যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছি। একবারও সেতুর দু’পাড়ে দাঁড়াতে হয়নি। খুবই সহজে ফাঁকা রাস্তায় পার হয়ে এসেছি।’
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম বার্তা২৪.কম বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকে। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট তৈরি হয়নি। আমরা পশ্চিম পাশে সেতুর মুখে কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে দিচ্ছি না। তাই খুব সহজেই পারাপার হচ্ছে যাত্রীবাহী গাড়ি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজারের মতো গাড়ি পারাপার হয় সেতুতে। যানজট হবে এটা খুব অস্বাভাবিক না। তবে আমরা এখন পর্যন্ত সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আশা করি, এবার ঈদে সেতুতে যানজটের ভোগান্তি থেকে যাত্রীরা মুক্তি পাবে।’
অন্যদিকে দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় পূর্ব পাড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল মহাসড়ক ধরে আসা গাড়িগুলো যানজট ছাড়াই সেতুতে উঠে যাচ্ছে। কোথাও কোনো যানজট নেই। যার ফলে সেতুর দুই পাড় ফাঁকা রয়েছে!