ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার পুরিতে আঘাত হেনেছে সুপার সাইক্লোন ফণী। শুক্রবার (৩ মে) সকালে ওড়িশার স্থলভাগে আছড়ে পড়ে ফণী।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে আঘাত হানতে পারে ফণী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আগে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ঢুকে পড়েছে সাইক্লোন ফণী। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪১ থেকে ২৯৬ কিলোমিটারের মধ্যে ওঠা নামা করছে।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে যে কোনো সময়ে পুরীর পার্শ্ববর্তী গোপালপুরে ফণী আছড়ে পড়তে পারে। যা পরে পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে।
ফণীর তাণ্ডব চলতে পারে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে। এদিকে, পুরীতে প্রবল ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে। সাগরে জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে।
ফণীর কারণে পর্যটক নেই পুরীতে। ইন্টারনেট সংযোগ ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যুৎও নেই। ঝড়ে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা, লণ্ডভণ্ড হয়েছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি। তবে, এখনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এরপর ১৭০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। রাজ্যের মেদিনিপুর জেলা হয়ে কলকাতা ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঢুকতে পারে। এই পথ ধরেই বাংলাদেশে রওনা দেবে ফণী।
এদিকে, ফণীর যথেষ্ট প্রভাবে কলকাতার আকাশ মেঘে ঢেকে গেছে। হালকা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ বলে সকাল থেকেই পথে লোকজন কম। কমছে যানবাহন চলাচল। বেলা বাড়লে বন্ধ হবে কলকাতার মেট্রো পরিষেবা। আর শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ হবে বিমান পরিষেবা। পশ্চিমবাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।
এদিকে, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ফণী। যখন তার গতিবেগ কমে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, ফণীর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে, কোথাও মেঘাচ্ছন্ন আবার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে।