রঙে রঙিন দোল উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামেও পরিচিত এ উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব। হলি উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো খুলনার শিক্ষাঙ্গনের ক্যাম্পাস ও মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হয় অনেকে। এ সময় তারা রঙ খেলার আনন্দে মেতে ওঠে।
এ উৎসবে মেতেছিল তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ। হিন্দু সম্প্রদায়ের দোলযাত্রার এ দিনে সবাই একে-অপরকে রঙ আর আবির দিয়ে রাঙিয়ে আনন্দের প্রকাশ ঘটায়। শিক্ষাঙ্গন থেকে মন্দির প্রাঙ্গণ সর্বত্রই লাগে দোল উৎসবের রঙিন ছোঁয়া।
দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রভুর কাছে ন্যায়ের বিজয় ও অন্যায়ের বিনাশ চান।
দোল উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়ে থাকে। প্রকৃতির বসন্তের সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও যেন ফাগুন রঙে সাজে।
হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব এ দোলযাত্রা। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী এ দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই থেকে দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন সবাই রঙে রঙিন হয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে।
দোল উৎসবের ছবিগুলো খুলনার বিএল কলেজ প্রাঙ্গণ ও শীতলাবাড়ি মন্দিরসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ক্যামেরাবন্দী করা হয়।