চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ঝগড়া থেকে মারামারির এক পর্যায়ে মা ও ভাইয়ের হাতে আনিকা আক্তার (২৫) খুন হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মা অনিকাকে চেপে ধরে এবং ভাই ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় মা ও ভাই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সোনা মিয়া হাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।
নিহত আনিকা ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের মেয়ে। তার চার বছর ও পাঁচ মাস বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা রোখসানা আক্তার ও ছোট ভাই রোকন উদ্দিনকে রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জহুর আলম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মা-ছেলে ও বোনের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ লেগে ছিল। আজকেও সকাল থেকে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। বিকেলে এক পর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে মা ও ছেলে মিলে হাত-পা বেঁধে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করলে এক পর্যায়ে তিনি মারা যান।
নিহতের মামা নাছির উদ্দিন বলেন, আনিকার বিয়ে হলেও দীর্ঘদিন ধরে বাপের বাড়ি থাকে। মাঝখানে কিছুদিন ভাড়ায় বাসায় থাকতেন। মা মেয়ে ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হতো। তার ৪ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ৬ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঘটনার পরপরই রাতে অভিযান চালিয়ে আনিকার মা ও ছোট ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি বলেন, মা ও ছেলে মিলে মেয়েকে হত্যা করেছে। মেয়েটি ছোটবেলা থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। ভিকটিম আনিকা বিবাহিত, তার দুটি বাচ্চা আছে।
‘গতকাল (রোববার) তাদের মা মেয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এক পর্যায়ে ভিকটিম আনিকা তার মাকে মারে। এমন সময় পাশের ঘরে থাকা তার ছোট ভাই রোকন এসে তার বোনকে থাপ্পড় দিলে ভাইকেও মারেন তিনি। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে মা মেয়ে আনিকাকে চেপে ধরলে রুকন তার বোনের গলায় একটি ছুরি দিয়ে তিনটি আঘাত করে। এতে আনিকার মৃত্যু হয়।’ বলে যোগ করেন ওসি।