গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় সব বৈষম্যের বিলোপ করুন, অধিকার, ইনসাফ ও মুক্তির কাফেলায় সামিল হোন, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ নানা দাবি জানিয়ে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটির নেতাকর্মীরা। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলে তারা এ সমাবেশ করেন। পরে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটির সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দুর নেতৃত্বে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বলিভদ্র বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বলেন, এক'শর অধিক পণ্যের ওপরে শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে করে জনসাধারণের ওপরে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাজারে মৌসুমি সবজির দাম কিছুটা কম থাকলেও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। যা শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। সেই সঙ্গে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব ধরনের সংস্কার করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সংস্কারের পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্য অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান।
শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে প্রভাবশালী এই নেতা বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের নামে একটি মহল শিল্প কলকারখানায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এতে করে নিরীহ শ্রমিকরা চাকরিচ্যুতসহ নানান ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া তথাকথিত কিছু সংখ্যক আওয়ামী লীগ পন্থী পোশাক শিল্পের মালিক, শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করে বিজিএমইএর কাছে কালো তালিকা দিচ্ছে। যার ফলে ওই শ্রমিকরা অন্য কোন কারখানায় চাকরি নিতে পারছেন না।
বিজিএমইএ এ ধরনের কালো তালিকা বন্ধ না করলে শ্রমিকদের নিয়ে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এই নেতা।
জেলা সদস্য মোহাইমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল মিটির সাধারন সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সচিব লিটন মন্ডল, ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মামুনুর রহমান রজব, আঞ্চলিক নেতা সাইফুল ইসলাম, বাবুল ডাক্তার, শাকিলা আক্তার শান্তা, পবিত্র এব্বর, আল আমিন মিয়া প্রমূখ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।