সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জ্বিনের মাধ্যমে গর্ভধারণের প্রলোভন এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)।
গ্রেফতারকৃত প্রতারকের নাম আলামিন মিয়া (৩৬)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার সহদেবপুর এলাকার মো. আরজু মিয়ার ছেলে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল নিজ এলাকা থেকে আলামিনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
তিনি জানান, মামলার বাদী শান্তা (ছদ্মনাম) দীর্ঘদিন ধরে সন্তান না হওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। এসময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমুতে "জিনের মাধ্যমে কবিরাজি চিকিৎসার দ্বারা সন্তানধারণ সম্ভব" এমন তথ্য দেখতে পান। শান্তা অনলাইনে যোগাযোগ করলে তার অসহায়ত্বকে পুঁজি করে প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন অজুহাতে যেমন "আসন বসানো," "জিন ভোগ দেওয়া," "চিকিৎসা খরচ" ইত্যাদির কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে মোট ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং আরও টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। টাকা না দিলে শান্তার ক্ষতি হবে এবং জ্বিনের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত না করলে জ্বিন স্বামীসহ তাকে হত্যা করবে মর্মে ভয় দেখায়।
প্রতারকদের এমন হুমকিতে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী শান্তা গত ১৮ ডিসেম্বর লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মালাটি সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টার অধিগ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির সদস্য আলামিন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলামিন মিয়া প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে। প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।